প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট – আইইউসিএনের তথ্য অনুসারে (২০১৫ সালে আইইউসিএন বাংলাদেশের তালিকা) বন্যছাগল এদেশে বিপন্ন, এবং বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিটের ঢুলারা বিজিবি ক্যাম্প এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্য ছাগল। প্রাণীটিকে গত রাতে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে আসে বনবিভাগ।
বন্য ছাগল (রেড সেরো) বাংলাদেশে খুবই বিরল। তবে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মুতসারির আকাশের ক্যামেরা ট্রেকিং এ মৌলভীবাজারের রাজকান্দি বনে বন্য ছাগল ধরা পরে।
সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মৌলভীবাজারেই আমরা বাচ্চাসহ বনছাগলের ছবি পেয়েছি। আশা করি, এটিকে সেখানেই ছেড়ে দেওয়া হবে। নাকের ডগা থেকে লেজ পর্যন্ত প্রাণীটি ১৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ৯৫ সেন্টিমিটার। পুরুষ বনছাগল প্রায় ১২০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএনের তথ্য অনুসারে (২০১৫ সালে আইইউসিএন বাংলাদেশের তালিকা) বন্যছাগল এদেশে বিপন্ন, এবং বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্য ছাগলটি লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে থাকলেও — এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল রাজকান্দি বনে অবমুক্ত করার। তবে বুধবার দুপুরে রাজকান্দি বনের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েও ফিরে আসে বনবিভাগ।
বনবিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা ফিরে এসেছিলাম তবে রাতেই হয়তো আবার যাব অবমুক্ত করতে।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কমকতা ড. জাহাঙ্গীর আলম, “উদ্ধার হওয়া বনছাগলটি গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আমাদের তত্ত্বাবধানে বনছাগলটি আছে। রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আজকেই ছেড়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে ক্রিয়েটিভ কনজারভেসন এলায়েন্সের ক্যামেরা ট্রেকিং পার্বত্য অঞ্চলে ২০১৭ সালে বন্য ছাগলের অস্থিত্ব ধরা পরে।
এম.কে
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩