বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য (ইউকে) শাখা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারমার যখন শ্যাডো ক্যাবিনেটে ছিলেন তখন আওয়ামী লীগের ইউকে শাখার প্রতিনিধিরা তার জন্য ‘তহবিল সংগ্রহের’ নৈশভোজের আয়োজনও করেছিলেন। যার কারণে আওয়ামীলীগের অবৈধ টাকা যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির জন্য ব্যবহৃত হওয়ায় নতুনভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের খালা যিনি বর্তমানে ভারতে আছেন।
লন্ডনে ‘বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট’ ও বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর খবর এলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখা দেশটিতে এখনও সক্রিয় আছে এবং পূর্বে টিউলিপ সিদ্দিকের পক্ষেও প্রচারণা চালিয়েছে।
টেলিগ্রাফ বলছে, ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কর্মী আবদুল আহাদ চৌধুরী স্টারমারের পক্ষে তার হলবর্ন এবং সেন্ট পানক্রাস নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কর্মীরা স্টারমারের পক্ষে লেবার পার্টির লিফলেট বিতরণ করেছে ও সেইসঙ্গে প্লাকার্ড নিয়ে স্টারমারের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে। তারা ধারাবাহিকভাবে টিউলিপের পক্ষেও প্রচারণা চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা শাহ শামীম আহমেদ এবং সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক একই সময় টিউলিপের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছে বলে টেলিগ্রাফে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া স্টারমার আবদুল আহাদ চৌধুরীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা করেছেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন স্টারমার।
আওয়ামী লীগের কর্মীরা এই অনুষ্ঠানকে স্টারমারের জন্য অর্থ সংগ্রহের নৈশভোজ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গত বছরের জুলাইতে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের দিন একটি ছবি পোস্ট করেন আবদুল আহাদ। সেখানে স্টারমারের সঙ্গে তাকে কর্মমর্দন করতে দেখা গেছে। তবে কবে এই ছবি তোলা হয়েছে তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।
এ ছাড়া ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় স্টারমারের সঙ্গে আবুদল শদীহ শেখের একটি ছবি দেখা যায়। আবদুল শহীদ শেখ নিজেকে আওয়ামী লীগের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন।
তিনি লেবার প্রার্থী স্যাম টেরির জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন বলে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই কর্মী আঞ্জেলা রেনারের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি এখন যুক্তরাজ্যের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রঃ দ্য টেলিগ্রাফ
এম.কে
০৯ জানুয়ারি ২০২৫