ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন৷ তার আগেই প্রথম কোনো আশ্রয়প্রার্থীকে রুয়ান্ডায় পাঠানোর খবর জানা গিয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার তার অবস্থান দৃঢ় করতে চায়৷ কারণ, স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভরা বিরোধী লেবার পার্টির কাছে ধরাশায়ী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে৷
ইংলিশ চ্যানেলে ছোট নৌকা থামানোকে নিজের পাঁচটি অগ্রাধিকারের একটি হিসাবে নিয়েছেন সুনাক৷ তাই ভোটের আগেই তার অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন করে ব্রিটিশ জনগণের মন জয় করতে চান এই রাজনীতিক৷
সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘অভিবাসন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অংশীদারত্বের অধীনে আমরা এখন রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠাতে পারব৷’’
তিনি আরো বলেন, রুয়ান্ডার সঙ্গে ‘‘এই চুক্তি যুক্তরাজ্যে যাদের থাকার অনুমতি নেই তাদের একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেয়৷ আর সেখানেই তাদের জীবন পুনর্গঠনে সহায়তা দেয়া হবে৷’’
তবে ব্রিটিশ সরকারের এই জোরপূর্বক নির্বাসন পরিকল্পনা জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে৷
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচ হাজার সাতশ জনকে এ বছর রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার৷ ব্রিটিশ সরকারের এই পরিকল্পনায় নীতিগত সম্মতি দিয়েছে রুয়ান্ডাও৷ ২৯ এপ্রিল সরকারের এক নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷
চলতি বছর প্রথম চার মাসে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে সাত হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী এসেছেন ব্রিটিশ উপকূলে৷ কোনো বছরের প্রথম চার মাসে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের হিসাবে এটি রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷
এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশ রুয়ান্ডা৷ দাবি করা হয়, আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে স্থিতিশীল দেশগুলোর একটি এটি৷ দেশজুড়ে গড়ে তোলা কিছু আধুনিক অবকাঠামোর জন্যও প্রশংসা কুড়িয়েছে রুয়ান্ডা৷
তবে দেশটির শাসনব্যবস্থা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে অধিকার সংস্থাগুলো৷ দেশটিতে ভিন্নমত দমন এবং বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য প্রেসিডেন্ট পল কাগামেকে অভিযুক্ত করেছে তারা৷
সূত্রঃ এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
এম.কে
০২ মে ২০২৪