প্রায় অর্ধেকের বেশি ব্রিটিশ কিশোর -কিশোরী স্যোশাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়। অনেকই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত বোধ করছেন বলে তাদের মতামত সংবাদমাধ্যমকে জানান।
মিলেনিয়াম কোহোর্ট স্টাডির অনুসন্ধান হতে প্রমাণ পাওয়া যায়, অনেকে মনে করেন তারা ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ মিডিয়াগুলির ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন রাজ্যগুলি ইনস্টাগ্রাম এবং এর মূল সংস্থা মেটার উপর মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যুবসমাজের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ইইউ গ্রাহকদের তাদের স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনগুলির উপর আরও নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর কাজ করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ অ্যামি অরবেনের দলের সর্বশেষ গবেষণাটি মিলেনিয়াম কোহোর্ট স্টাডি থেকে ডেটা ব্যবহার করেছে। যা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড জুড়ে ২০০০-২০০২ সালে জন্মগ্রহণকারী প্রায় ১৯,০০০ মানুষের জীবন নিয়ে গবেষণা করছে। কোহোর্ট ১৬-১৮ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। যারা সাড়া দিয়েছেন তাদের ৪৮% এর উত্তর ছিল, “আমি মনে করি আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত”। তাছাড়া দেখা যায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা স্যোশাল মিডিয়ায় বেশি আসক্ত।
বিজ্ঞানীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে মত প্রকাশ করে জানান,আসক্তি মানে এই নয় যে তারা কোনো ধরনের ক্লিনিকাল আসক্তিতে ভুগছেন, তবে স্যোশাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের একটি অভাব প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা।
জর্জিয়া টার্নার, গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী একজন স্নাতক শিক্ষার্থী বলেন, “ স্ব-অনুভূত সামাজিক মিডিয়া আসক্তি মাদকাসক্তির মতো একই নয়। তবে আপনার নিজের আচরণের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই এটা কোনো সুন্দর অনুভূতি নয়। ”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগের শ্রেণিবিন্যাসের উপর ভিত্তি করে “গেমিং ডিসঅর্ডার” নামক মানসিক রোগকে চিহ্নিত করেছে। মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা খাতের একজন বিশেষজ্ঞ, সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ-তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য যে ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে সে সম্পর্কেও আলোকপাত করেছিলেন বলে গবেষণা হতে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০২ জানুয়ারি ২০২৩