5.9 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

হাজতে চিকেন খাচ্ছেন সালমান, আনিসুল হক মাছ

১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে তাদের। শনিবার (১৭ আগস্ট) আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের রিমান্ডের তৃতীয় দিন।

ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডিবি অফিসে যে খাবার রয়েছে সেগুলোই খাচ্ছেন সালমান ও আনিসুল। বিজনেস টাইকন সালমান এফ রহমান পছন্দ করেন চিকেন জাতীয় খাবার। তিনি শুক্রবার (১৬ আগস্ট) মুরগি ও ডিম দিয়ে খেয়েছেন। আর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পছন্দ করেন মাছ। তিনি ডিম ও শিং মাছের ঝোল দিয়ে খেয়েছেন। এছাড়া ডিবির হাজতখানার ফ্লোরে ঘুমাচ্ছেন দুজন।

কীভাবে তাদের সময় কাটছে জানতে চাইলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বসে থাকেন, ঘুমান, খান এবং নামাজ পড়ে সময় কাটান তারা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন টিটি কলেজের বিপরীত পাশে কাদের আর্কেড মার্কেটের সামনে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন ওই এলাকার একটি পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলী। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ডিএমপির নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয় সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হককে। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নৌপথে পালানোর সময় মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা বর্তমানে ডিবি হেফাজতে আছেন। তবে হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।

একই মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা মামলাটি এখনো আমরা তদন্ত করছি। থানা এখনো ভালনারেবল হওয়ায় আসামিদের ডিবিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিনভর ডিবির শীর্ষ কর্তারা, নিউমার্কেট থানার ওসি ও হত্যা মামলার আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) ডিবি কার্যালয়ে সালমান ও আনিসুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, কোর্টে সাবমিট করার জন্য যে কাগজপত্র বা অর্ডার শিট তার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো বাংলায় লেখা ছিল। এ সময় সালমান জানান, তার বাবা পাকিস্তানে ব্যবসা করায় ছোটবেলাতে সেখানে ছিলেন। এ কারণে তিনি বাংলা পড়তে পারেন না। তখন সাবেক আইনমন্ত্রী পড়ে শোনান। পরে সালমান এফ রহমান কোর্টে সাবমিট করার কাগজে স্বাক্ষর করেন। শাহজাহান হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কখন মার্ডার হয়েছে, কারা নির্দেশ দিয়েছে এসব বিষয়ে কোনো কিছু জানি না।’ সালমান এফ রহমান তার কর্মকাণ্ডের জন্য অনুতপ্ত না বলে জানান জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বাভাবিক ও স্থির ছিলেন তিনি।

সূত্র আরও জানায়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জিজ্ঞাসাবাদে একেবারেই স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তরই দেননি। প্রশ্ন করা হলে শুধু হাসেন। নিউমার্কেট থানায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে মুচকি হেসেছেন তিনি। এ সময় তিনি পুলিশের কাছে সুপ্রিমকোর্টের বর্তমান অবস্থা ও বিচারক কাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এসব বিষয়ে জানতে চান। তাকে বিস্তারিত জানান তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

এম.কে
১৭ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

বাংলাদেশের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

পূজামণ্ডপে গীতা পাঠ করে শোনালেন জামায়াত নেতা

‘ফোনে আপা আপা বলা’ আ. লীগকর্মী তানভীর বহিষ্কার