TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

হাদি হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে উত্তাল রাতঃ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ও সাবেক মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামে রাতভর বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে খুলশীতে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের সামনে অবস্থান নেন জুলাই যোদ্ধাসহ এনসিপির নেতা-কর্মী ও ছাত্র-জনতা। একই সময়ে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ষোলশহর এলাকা থেকে একটি মিছিল চশমা হিলের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভ জোরালো হতে থাকলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে রাত সোয়া একটার দিকে হঠাৎ করে সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন ও অফিস লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ টিআর শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন উপ-কমিশনার জানান, শুরুতে এনসিপির নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ করছিলেন। তবে হঠাৎ করে একটি পৃথক গ্রুপ সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন ও অফিসে হামলা শুরু করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে অ্যাকশনে যায় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খুলশিতে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের বাউন্ডারির ভেতরেই সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজিব রঞ্জন চক্রবর্ত্তীর বাসভবন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন কি না—সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানাতে পারেনি খুলশি থানা পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে শোকের আবহ তৈরি হয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করে জুলাই যোদ্ধারা রাতেই রাস্তায় নেমে হাদি হত্যার বিচার দাবি করেন। খুলশীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের সামনে বিক্ষোভকারীরা হাদির খুনিদের ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখার দাবি জানান।

বিক্ষোভ চলাকালে ‘দিল্লি না ঢাকা’, ‘গোলামী না আজাদী’, ‘আপস না সংগ্রাম’সহ নানা স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে সরকারের ব্যর্থতাকেও হাদির হত্যার জন্য দায়ী করা হয়।

রাত পৌনে দুইটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিসের সামনের সড়ক ফাঁকা হয়ে যায়। পুলিশি অভিযানের মুখে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেও নগরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এম.কে

আরো পড়ুন

দাতা সংস্থাগুলোর কাছে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ

ভিসাপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের সতর্কবার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

অস্ত্র মামলায় রিজেন্টের সাহেদের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক