ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একজন প্রাক্তন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তিনি হিথ্রো চেক-ইন ডেস্ক থেকে প্রায় ৩ মিলিয়নের অধিক ইমিগ্রেশন কেলেঙ্কারীর ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা করছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২৪ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ব্যক্তি তার চাকরি ছেড়ে জামিন নেওয়ার পরে ভারতে চলে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসে তাকে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেক-ইন সুপারভাইজারের নামেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। খবরে জানা যায়, তারা টার্মিনাল ফাইভের মাধ্যমে বৈধ ভিসা নথি ছাড়াই ২৫,০০০ পাউন্ড করে চার্য করে অনৈতিক ও অবৈধ সুবিধা প্রদান করতেন যাত্রীদের।
একটি সূত্র গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে এইভাবে অবৈধ পন্থায় অনেক যাত্রীদের কানাডায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। তন্মধ্যে যাত্রীদের প্রায় সবারই যুক্তরাজ্যে থাকার সঠিক ডকুমেন্টেশন ছিল না।
সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, বেশিরভাগ অবৈধ সুবিধা নেয়া ভ্রমণকারী ছিল ভারতীয় নাগরিক। তাদের কানাডায় আশ্রয় দাবি করার পরিকল্পনা ছিল এবং তাদেরকে অস্থায়ী ভিজিট ভিসায় ভারত থেকে যুক্তরাজ্যে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্যকে রুট হিসাবে ব্যবহার করে কানাডায় পাঠানোর পরিকল্পনায় জড়িয়ে পড়েছিল হিথ্রো বিমানবন্দরের বিভিন্ন কর্মচারী। এইসব যাত্রীদের অনেকেই যুক্তরাজ্য আশ্রয় দাবি করে ব্যর্থ হয়েছিলেন বিধায় যুক্তরাজ্য হতে নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন।
বিএর এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, ” আমরা কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সহায়তা করছি।”
যুক্তরাজ্যের বর্ডার ফোর্স এবং পুলিশ জানায়, দুইজন ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। ভারতে তাদের একাধিক সম্পদ রয়েছে বলেও জানা যায়। তবে ভারতের সাথে যুক্তরাজ্যের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে বলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলে তাদের ফিরিয়ে আনাও সম্ভব।
হোম অফিসের এক মুখপাত্র এই বিষয়ের উপর মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ” তদন্ত চলমান থাকাকালীন সময়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।”
উল্লেখ্য যে, এয়ারলাইন্স সাধারণত পরীক্ষা করে যাত্রীদের কাগজপত্র তবেই তাদের গন্তব্যের জন্য উড়োজাহাজে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তাছাড়া যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দেয়ার আগে ম্যানুয়ালিও ভিসা বৈধ কিনা তা চেক করা হয়। তাই কথিত জালিয়াতি ব্যবস্থায় উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত বিমানে যেতে বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪