যুক্তরাজ্যের বেসরকারি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান হোম অফিসকে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি প্রদান করেছে। কারণ হিসাবে পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য হোম অফিস প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে চিহ্নিত করছে। যা আইনত একটি বড় অপরাধ হিসাবে গণ্য করা যায়।
রুয়ান্ডা নীতি সংসদে পাশ হবার পর কনজারভেটিভ সরকারের চাপে হোম অফিস ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকেরা। নতুন উদ্ভুত পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে চিহ্নিত করে কাজ করে যাচ্ছে হোম অফিস। যেখানে সরকারের মন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন কোনো শিশুকে রুয়ান্ডা পাঠানো হবে না বিধায় তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে পর্যবেক্ষকেরা।
হোম অফিসের এই বেআইনী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য চরম আইনি হুমকি দিয়েছে বেসরকারি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে এতো বছরের পুরাতন একটি প্রতিষ্ঠান যারা বছরের পর বছর ধরে শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করছে তাদের এই ভুল অবশ্যই ইচ্ছাকৃত। এই ভুল সম্পূর্ণ বেমানান যা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না।
শরণার্থী কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০২১ সালে ২৩৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে যুবক হিসাবে প্রাথমিকভাবে ইমিগ্রেশন অফিসারেরা সনাক্ত করেছিল। পরবর্তী মূল্যায়নে দেখা যায় তাদের ৯৪% অপ্রাপ্তবয়স্ক।
দাতব্য সংস্থা কর্তৃক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আগে আইনী হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে হোম অফিসকে দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শিশুদের সাথে,এই ধরনের আচরণ তাদেরকে মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বেসরকারি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান।
লেবার দলের নেতা স্টারমার জানিয়েছেন ইলেকশন পাশ করলে প্রথম দিন থেকে লেবার সরকার রুয়ান্ডা নির্বাসন প্রক্রিয়া বন্ধ করবে। রুয়ান্ডায় অভিবাসী পাঠিয়ে পয়সা খরচ না করে চোরাকারবারি ধরতে লেবার পার্টি অধিক অর্থ ব্যয় করবে।
উল্লেখ্য যে ইমিগ্রেশন কেস মোকাবেলা করার সময় বয়সের মূল্যায়নগুলি কতটা সঠিক হয় তা নিয়ে বারবার উদ্বেগ উত্থাপিত করেছে হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক সহ বিভিন্ন মানবিক সংগঠন। গত বছর, ইংল্যান্ডের চাইল্ড কমিশনার ডেম র্যাচেল ডি সুজা বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে তার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। তিনি জানান এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই একটি নিরাপদ এবং দৃঢ় উপায়ে সম্পন্ন করা উচিত।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৩ মে ২০২৪