যুক্তরাজ্যের টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোর্স থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে কারণ আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশন ফি প্রদান করতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় হতে বের করে দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হোম অফিস যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
টেসাইড বিশ্ববিদ্যালয় নাইজেরিয়ান শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে হোম অফিসে রিপোর্ট করার পর গত মে মাসে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা হোম অফিসে রিপোর্ট করা ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের নাইজেরিয়ায় যাওয়ার জন্য তহবিল সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ নাইজেরিয়ান শিক্ষার্থীদের জন্য অফার দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং নাইজেরিয়ান সরকারের হস্তক্ষেপের পর, বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানায় তারা রিপোর্ট করা কিছু আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে পুনরায় তালিকাভুক্ত করেছে এবং বাকি শিক্ষার্থীদের তাদের দেশে ফেরত যাওয়ার সহযোগিতার জন্য ভ্রমণ তহবিল খুলেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডলসব্রো-ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের স্পনসরশিপ প্রত্যাহার করে নেয় এবং টিউশন ফি বকেয়া পড়ার কারণে তাদের হোম অফিসে রিপোর্ট করেছে।
নাইজেরিয়ান শিক্ষার্থীরা জানায় তাদের প্রজন্মের মধ্যে এই মূহুর্তে নাইজেরিয়া সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া ইউকে বিশ্ববিদ্যালয় যখন সাতটি কিস্তি থেকে তিনটিতে কমিয়ে নিয়ে আসে তখন পেমেন্ট পরিকল্পনাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আর্থিক সংগ্রামের মধ্যে পতিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, টিউশন ফি’স পরিশোধের ব্যর্থতা ভিসা স্পনসরশিপের শর্তের লঙ্ঘন ছিল। যার কারণে হোম অফিসকে রিপোর্ট করা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আর কোনো বিকল্প উপায় ছিল না। কিছু ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীকে বলা হয়েছে তারা তাদের পড়াশোনা আবারও শুরু করতে পারেবে।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে কনজারভেটিভ সরকার। তারা ইতোমধ্যে চাপে রয়েছে অভিবাসন নিয়ন্ত্রনে আনার ব্যাপারে। স্বাস্থ্যসেবা খাত ও শিক্ষার্থীদের ডিপেন্ডেন্ট আনাও বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তাছাড়া নিয়মনীতি কঠোর করার কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে আসা হ্রাস পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১১ জুন ২০২৪