হোয়াইট হাউস ট্রাম্পের উদ্যোগে গাজার জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে, যেখানে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে প্রশাসনিক কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, উভয় পক্ষ রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে এবং ইসরায়েলি সেনারা ধাপে ধাপে গাজা থেকে সরে যাবে।
চুক্তি কার্যকর হলে ইসরায়েল প্রকাশ্যে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি—জীবিত ও মৃত—ফেরত দেবে। এর পর ইসরায়েল যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২৫০ বন্দি এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে সব নারী ও শিশুও থাকবে। নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের দেহাবশেষের বিনিময়ে গাজা থেকে ১৫ জনের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হবে।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, হামাস সদস্যরা যদি অস্ত্র জমা দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে রাজি হয় তবে সাধারণ ক্ষমা পাবে। যারা গাজা ছাড়তে চাইবে, তাদের নিরাপদে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে পূর্ণ সহায়তা ও পুনর্গঠন তৎক্ষণাৎ শুরু হবে, যার মধ্যে হাসপাতাল, বেকারি, অবকাঠামো মেরামত এবং ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত।
গাজা সাময়িকভাবে একটি অরাজনৈতিক, প্রযুক্তিনির্ভর ফিলিস্তিনি কমিটির অধীনে চলবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষিত হবে নতুন ‘বোর্ড অব পিস’-এর মাধ্যমে। এতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা থাকবেন। একইসঙ্গে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে এবং বিনিয়োগ ও পুনর্গঠনের জন্য আধুনিক মধ্যপ্রাচ্যের শহর নির্মাণে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করা হবে।
পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে, গাজা সন্ত্রাসমুক্ত করতে সব সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে। একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF) সীমান্ত সুরক্ষা, পুলিশ প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র পাচার রোধ করবে। ইসরায়েল গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না, বরং আইডিএফ ধাপে ধাপে সরে যাবে। হামাস যদি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানও করে, তবে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় পুনর্গঠন অব্যাহত থাকবে।
চুক্তিতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের পথে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজবে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
কেভিন স্টিল
এম.কে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫