যুক্তরাজ্যে জুন মাসে সম্পত্তির গড় চাহিদামূলক মূল্য ০.৩% কমে দাঁড়িয়েছে £৩৭৮,৪২০, যা গত দশ বছরের জুন মাসে গড়ে ০.৪% বৃদ্ধির ঠিক বিপরীত চিত্র। রিয়েল এস্টেট পোর্টাল রাইটমুভ জানিয়েছে, এটি একটি “অস্বাভাবিক পতন” এবং বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত।
গত বছরের তুলনায় ক্রেতার চাহিদা ৩% বেড়েছে, তবে বাজারে আসা বাড়ির সংখ্যা ১১% বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের সামনে বিকল্পের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে দাম নিয়ে বাজার হয়েছে অত্যন্ত সংবেদনশীল।
দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব এবং লন্ডনে দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে – যথাক্রমে ১.৬%, ১% ও ০.৯%। এই এলাকাগুলোর বিক্রেতারা সম্প্রতি স্ট্যাম্প শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব মাথায় রেখে দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করছে রাইটমুভ।
রাইটমুভের বিশেষজ্ঞ কোলিন ব্যাবকক বলেন, বিক্রেতারা এখন প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন। কারণ ক্রেতা আকর্ষণ করতে হলে বাজার উপযোগী মূল্য নির্ধারণ ছাড়া উপায় নেই।
এদিকে, ভাড়ার বাজারে বিপরীত চিত্র। এস্টেট এজেন্ট Hamptons জানিয়েছে, মে মাসে ভাড়াটিয়া নিবন্ধনের হার ১৭% কমেছে। এখন পর্যন্ত প্রতি একজন ফার্স্ট-টাইম ক্রেতার বিপরীতে ১.৫ গুণ বেশি ভাড়াটিয়া বাসা খুঁজছেন, যদিও এই অনুপাত ২০২২-২৩ সালে ছিল দ্বিগুণ।
Hamptons-এর অ্যানিশা বেভারিজ বলেন, মর্টগেজ হারের কিছুটা পতন এবং অতিরিক্ত ভাড়ার খরচের কারণে এখন অনেকের কাছেই বাড়ি কেনা অর্থনৈতিকভাবে বেশি যৌক্তিক। এতে করে প্রথমবারের ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে এবং ভাড়ার বাজারে চাপ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভাড়া বৃদ্ধির হার এখন দীর্ঘমেয়াদি গড়ের কাছাকাছি – ১.৫%। তবে ‘রেন্টার্স রাইটস বিল’ কীভাবে কার্যকর হয়, সেটাই ভবিষ্যতে ল্যান্ডলর্ড ও বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে।
ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে স্ট্যাম্প শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অনেক লেনদেনে অতিরিক্ত হাজার পাউন্ড খরচ যুক্ত হয়েছে, যা এই বাজার মন্দার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৬ জুন ২০২৫