ফিল সিমন্সের সহকারী হিসেবে কে কোচ হবেন নাম জানাননি বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে বিসিবি সভাপতি পরিষ্কার বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে কারও নাম বলছি না, তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেশের একজন সহকারী কোচ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটা নিশ্চিত। এ মুহূর্তে আমি তার নাম বলছি না।’
বিসিবি সভাপতির এমন উক্তিই বলে দেয়, বাংলাদেশ জাতীয় দলে একজন দেশি সহকারী কোচ নিয়োগ পাচ্ছেন।
বিসিবি সভাপতির মুখে কারও নাম উচ্চারিত না হলেও জাতীয় দলে একজন স্থানীয় কোচ হিসাবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ হিসাবে তার সঙ্গেও এ বিষয়ে বিসিবির কথা-বার্তা প্রায় চূড়ান্ত।
জানা যাচ্ছে, মোটা অংকের বেতনে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন সালাউদ্দিন। সে অর্থের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার কম নয়। দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সালাউদ্দিনকে ১২ লাখ টাকা মাসিক বেতনে জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত।
এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা সালাউদ্দিনকে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি জানান, তারও ইচ্ছে আছে জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার। তবে কিছু পূর্ব শর্ত আছে। তার প্রথম শর্তই হলো বেতন।
কারণ বিসিবি বিদেশি কোচদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয়, দেশি কোচদের তার সিকিভাগও দেয় না। কাজেই ধারণা করা হচ্ছিল, সালাউদ্দিন কম বেতনে কখনোই জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হবেন না।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা (বাড়ি ভাড়া, দেশে ফেরার অন্তত গোটা তিনেক টিকিট, হাত খরচ) সহ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক হেড কোচ হাতুরুসিংহের বেতন ছিল প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। সেখানে একজন দেশি কোচকে ৫ লাখ টাকাও দিতে অনীহা ছিল বিসিবির।
কিন্তু এবার সালাউদ্দিনকে যথাযথ মূল্য ও মর্যাদা দিয়েই জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিতে যাচ্ছে বিসিবি। তার মাসিক বেতন ১২ লাখ টাকা হতে পারে। শিগগির তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করবেন বলে তথ্যমতে জানা যায়।
এম.কে
০২ নভেম্বর ২০২৪