সিলেট ও সুনামগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় পড়েছে শিলাবৃষ্টিও। সর্বোচ্চ ২০৩ গ্রাম ওজনের শিলা পাওয়ার খবর দিয়েছে বাসিন্দারা। আর এতে গাড়ি, বাসা-বাড়ি ও পানির ট্যাঙ্ক ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে একাধিক ফসলের মাঠ। এ সময় পথে থাকা চারজনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। বাসিন্দারা বলছে, গত ১৫ বছরেও এমন শিলাবৃষ্টি দেখেনি সিলেটবাসী।
রবিবার ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতও। কিছু সময় পর শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে পড়তে থাকে শিলাও। ১০-১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল শিলাবৃষ্টি। আর এতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সিলেটবাসী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট আবহাওয়া অফিস।
হঠাৎ করেই কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হওয়ায় বড় বড় শিলার আঘাতে সিলেট শহরের অনেক বাসাবাড়ির জানালার ও গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে। এ সময় রাস্তায় থাকা যানবাহনেরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে সিলেটে এরকম শিলাবৃষ্টি দেখা যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করছেন অনেকেই। রাস্তায় চলাচল করা বিভিন্ন গাড়ির গ্লাসও ভেঙে যায় শিলার আঘাতে। কারও কারও বাসার টিনের চালা ফুটো ও জানালার কাঁচের গ্লাস শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন খোলা জায়গায় ও রাস্তায় অবস্থান করা কেউ কেউ।
এদিকে হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় সিলেটের রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষ, পথচারী ও ঈদের কেনাকাটায় যাওয়া লোকজন বিপাকে পড়েন।
শিলাবৃষ্টির সঙ্গে বজ্রঝড়ের কারণে সিলেট প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রবল ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সিলেটের অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়।
এম.কে
০২ এপ্রিল ২০২৪