7.5 C
London
May 5, 2025
TV3 BANGLA
Uncategorized

১৭৮ টেরাবাইট গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবন লন্ডনের গবেষকদের


টিভিথ্রি ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট উদ্ভাবনের দাবি করছে লন্ডনের একদল গবেষক। বলা হচ্ছে, এর সাহায্যে নেটলফিক্সের পুরো লাইব্রেরি সেকেন্ডেরও কম সময়ে ডাউনলোড করে ফেলা সম্ভব।

রোববার (১৬ আগস্ট) ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়,  লাইট ফাইবার-অপটিক ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ডেটার প্রবাহকে বাড়ানোর জন্য অ্যাম্প্লিফায়ার ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবাইট স্পিড অর্জন করে, যা লন্ডনের সাধারণ হোম ইন্টারনেট সংযোগের থেকে প্রায় ৩০ লাখ গুণ বেশি।

গবেষক দলের নেতৃত্বদানকারী ড. লিডিয়া গাল্ডিনো বলেন, এ ধরনের আল্ট্রা ব্রডব্যান্ডই হতে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট। ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধিতে সাধারণ অপটিক্যাল ফাইবারের চেয়ে বেশি মাত্রার রঙ ব্যবহার করে এ সাফল্য এসেছে।

গতির পরীক্ষা করার জন্য ড. দাল্ডিনো ল্যাবের চারপাশে ২৫ মেইল ফাইবার অপটিক লুপে কম্পিউটার-জেনারেটেড বিট পাঠিয়েছিলেন। সিগন্যাল শক্তি বাড়ানোর জন্য কাস্টমাইজড অ্যাম্প্লিফায়ার তৈরি করে ব্যাপক গতি অর্জন সম্ভব হয়, যা বাণিজ্যিকভাবে পেতে হলে কমপক্ষে প্রতি ২৫ মাইল পর পর বসাতে হবে।

ডা. গাল্ডিনো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সর্বাধিক ব্যান্ডউইথ সঞ্চারিত হয় তা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আমি মনে করি সামাজিক সুবিধাটি সবার কাছে সুস্পষ্ট, সবার জন্য দ্রুত ইন্টারনেট এবং আরও উৎপাদনশীল অর্থনীতি।

তিনি আরও বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ গত দশ বছরে ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এবং ডেটা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এবার আমরা তাত্ত্বিক সীমাতে পৌঁছাতে পেরেছি। অপটিকাল ফাইবারের ক্ষমতা বাড়ানোর একটি উপায় হল, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করে রঙগুলোর পরিসর বৃদ্ধি করা, যা আমরা করেছি ঠিক তেমনই। এটা হতে যাচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের যোগাযোগ পদ্ধতি।

জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে আল্ট্রা-স্পিড ব্রডব্যান্ড উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা চলছে বিশ্বময়। গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী ডেটা স্থানান্তরে প্রতিসেকেন্ডে ৪৪ দশমিক ২ টেরাবাইট অর্জন করে।

১৬ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি

আরো পড়ুন

শাহ আবদুল করিম স্মরণ উৎসব 2020 LIVE

সঠিক ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সম্ভবঃ স্যার স্টারমার

ঝালমুড়ি-চানাচুর-আঁচার ও মসলা রপ্তানিতে আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশ