সৌদি আরব সরকার সম্প্রতি ২০৫০ সাল পর্যন্ত হজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে হজ আর গ্রীষ্মকালে পড়বে না। এ সিদ্ধান্ত হজ পালনকারীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ গরমকালের প্রচণ্ড উত্তাপ হজযাত্রীদের জন্য চরম কষ্টকর হয়ে উঠত।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২০২৬ সাল থেকে শুরু করে অন্তত ২০৪৯ সাল পর্যন্ত হজ অনুষ্ঠিত হবে বসন্ত, শীত এবং শরৎ মৌসুমে। এর মানে হলো, দীর্ঘ সময় ধরে হজ অনুষ্ঠিত হবে তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা ও সহনীয় আবহাওয়ায়। হিজরি পঞ্জিকা অনুযায়ী হজের নির্ধারিত সময় প্রতিবছর প্রায় ১০ থেকে ১১ দিন করে আগায়, যার ফলে এই পরিবর্তন আসছে।
হজ মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “এই পরিবর্তনের ফলে হজযাত্রীদের জন্য পরিবেশ হবে অধিক সহনীয়। তীব্র গরমে যেসব স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিত, যেমন হিটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশন, তা অনেকটাই কমে যাবে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিবর্তন শুধু হজযাত্রীদের জন্য নয়, সৌদি আরবের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনাও সহজ করবে। গ্রীষ্মে অতিরিক্ত গরম, তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুৎচাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ত। এখন শীত বা বসন্তকালে হজ হওয়ায় তেমন পরিস্থিতি অনেকটাই পরিহার করা যাবে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরা এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হজ অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই সময়সূচি অনুযায়ী হজের প্রস্তুতি নেওয়া আরও কার্যকর হবে এবং যাত্রীদের শরীরের ওপর চাপও কম পড়বে।”
উল্লেখ্য, সৌদি সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ হজযাত্রীর সুবিধার্থে পরিবহন, আবাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশাল প্রস্তুতি গ্রহণ করে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন সেই প্রস্তুতিকে আরও কার্যকর করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রঃ রয়টার্স
এম.কে
১০ জুন ২০২৫