বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাজ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি আগামী মাসগুলোতে দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। এদিকে ইতোমধ্যে দশকের সবচেয়ে বড় মূল্য বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছেন ক্রেতারা।
মিররের প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেনের যুদ্ধ, শ্রমের ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের খরচ আরও বাড়াতে পারে।
অনেক পূর্বাভাসক আশঙ্কা করছেন যে আগামী মাসে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের উপরে উঠবে।
একজন বিশ্লেষক, শোর ক্যাপিটালের ক্লাইভ ব্ল্যাক, গ্রীষ্মকালে এটি ১২ শতাংশ পর্যন্ত লাফিয়ে উঠতে পারে। কেবল দুধের দামই বাড়তে পারে ৩০ শতাংশ।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস এই সপ্তাহে বলেছে, খাদ্য ও পানীয়র মূল্যস্ফীতি গত মাসে ৫.৯ শতাংশ বেড়েছে, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্ল্যাক দাবি করেছেন যে শস্য, পশুখাদ্য, সার এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহের গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি সরকার।
ইউক্রেন গম এবং রান্নার তেলের একটি প্রধান উত্পাদক, তাই রাশিয়ার আক্রমণ উভয়ের পাইকারি খরচ বাড়িয়েছে। তাছাড়া এই যুদ্ধের ফলে তেলের দামও বেড়েছে, যা উৎপাদন ও পরিবহন ব্যয়কে আঘাত করেছে।
ব্যয় বৃদ্ধির অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে খাদ্য শিল্পে শ্রমিকের দীর্ঘমেয়াদী ঘাটতি এবং ব্রেক্সিটের পর থেকে মুদ্রার ওঠানামা।
একজন সরকারি মুখপাত্র বলেছেন: “বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি কমাতে আমরা বিভিন্ন সেক্টরের সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
ওয়েবসাইট Trolley.co.uk এবং অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের গবেষণায় পাওয়া গেছে, কিছু সুপারমার্কেট ডিমের দাম ৫.৫%, মাশরুম ৯% এবং হেইঞ্জ বেকড বেঞ্জের একটি টিনের দাম ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া ওয়ালের মোটা সসেজের একটি প্যাকেট এই বছরে ১৩% এবং বেকন ২০.৪% বেড়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ