জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় তিনি কোরআন হাতে নিয়ে হাজির হয়ে অবমাননার জবাব দিয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কুরআন অবমাননার নিন্দা জানান রাইসি। এ সময় পবিত্র কুরআন মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করতে নিষেধ করেছে জানিয়ে বলেন, মহান আল্লাহর চেয়ে ভালো আর কে মানবতাকে সংজ্ঞায়িত করেছে এবং মানবীয় মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে?
পশ্চিমাদের কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে রাইসি বলেন, বাকস্বাধীনতা রক্ষার নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বৈষম্যমূলক। এ সময় তিনি ফ্রান্সের স্কুলে মুসলিমদের হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টিও সমালোচনা করেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, সুইডেনে ধারাবাহিক কুরআন অবমাননা হলেও সরকার কেবল তার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু তারা বাকস্বাধীনতার নামে এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।
অধিবেশনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, পশ্চিমারা ইসলামফোবিয়া ও বর্ণবাদকে মহামারি আকারে দেখছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্যবশত পপুলিস্ট রাজনীতিবীদরা বিভিন্ন দেশে এ ভয়াবহ প্রবণতাকে উৎসাহিত করে আগুন নিয়ে খেলছেন।
পশ্চিমাসহ মুসলিমদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের পবিত্রতা নিয়ে আপস করা বাকস্বাধীনতার অংশ হিসেবে দেখা উচিত নয়। আমি আমার মুসলিম ভাইদের বলব যে, যখনই পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মাধ্যমে বা অন্য ধরনের তুচ্ছ কাজের মাধ্যমে আমাদের উসকানি দেওয়ার ঘটনা ঘটবে তখনই একজন নির্বোধ বা পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তির দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া আমাদের পক্ষে অমূলক। আল কুরআন এতটাই পবিত্র যে কোনো বুদ্ধিহীন ব্যক্তির দ্বারা এটি অপবিত্র হতে পারে না।
এম.কে
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩