16.2 C
London
October 8, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

“অতি দক্ষিণপন্থীদের কাছে মাথা নত করব না” — কিয়ের স্টারমারের কঠোর হুঁশিয়ারি

অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্রিটেন। টমি রবিনসনের নেতৃত্বে মধ্য লন্ডনে ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ নামে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এক বিশাল মিছিলে অংশ নেন প্রায় এক লাখ মানুষ। পুলিশের হিসাবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার। জাতীয় পতাকা হাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এ সমাবেশে যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বেশ কিছু কট্টর ডানপন্থি ব্যক্তিত্ব। তাদের মধ্যে ধনকুবের ইলন মাস্ক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, “আপনারা একটি মৌলিক সমস্যার মুখোমুখি। বামপন্থা হল হত্যা ও হত্যা উদযাপনের দল। সহিংসতা চাই বা না চাই, তা আপনার দিকেই আসছে। হয় পাল্টা রুখে দাঁড়ান, নয়তো মরুন।”

মিছিল ঘিরে সহিংসতায় ২৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন, চারজনের অবস্থা গুরুতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গর্জে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি বলেন, “অতি দক্ষিণপন্থীদের কাছে মাথা নত করব না। হিংসা ঢাকতে জাতীয় পতাকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু লাল-সাদা পতাকা বৈচিত্র্য ও সহনশীলতার প্রতীক। নাগরিকদের ধর্ম, বর্ণ বা জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে আক্রমণ সহ্য করা হবে না।”

স্টারমার আরও বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা সবার অধিকার। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। ব্রিটেন এমন একটি দেশ যা বৈচিত্র্য, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। যারা পতাকাকে হিংসা ও বিভাজনের অস্ত্র বানাচ্ছে, তাদের কাছে আমি কখনো আত্মসমর্পণ করব না।”

অভিবাসনবিরোধী এই কর্মসূচি এবং মাস্কের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা এড ডেভি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “এই কট্টর-ডানপন্থি গুন্ডারা ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব করে না।”

ইলন মাস্ক কেবল অভিবাসন ইস্যু নিয়েই নয়, বরং যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ক্ষতিকারক অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টারও সমালোচক। তাঁর মতে, এ ধরনের উদ্যোগ বাকস্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে।

শনিবারের বিক্ষোভ আবারও অভিবাসন ইস্যুতে ব্রিটেনের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে বিপজ্জনকভাবে অভিবাসীদের আগমন ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ফ্রান্স থেকে চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের কর্তৃপক্ষ চোরাচালানকারী চক্র দমনে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু সমস্যা ক্রমেই জটিল হচ্ছে।

সূত্রঃ ইউরো নিউজ

এম.কে
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে ল্যান্ডলর্ডদেরা সেকশন টুয়েন্টি-ওয়ান বাতিল চায়

ব্রিটিশ সাধারণ নির্বাচনে ধরাশায়ী হবার পথে কনজারভেটিভ দল

পৃথিবীর ভয়ংকরতম স্নাইপার ওয়ালি এখন ইউক্রেনে