থাইল্যান্ডে একজন অসন্তুষ্ট ব্রিটিশ পর্যটক কথিত অনলাইন রিভিউ প্রদানের কারণে বিপাকে পড়েছেন। ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডারকে থাইল্যান্ডের ফুকেটে একটি রেস্তোরাঁ সম্পর্কে জাল ও নেতিবাচক রিভিউ পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্য মেট্রোর বরাত দিয়ে এনডিটিভি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, আলেকজান্ডার রেস্তোরাঁটিকে তার বাড়িতে যাওয়ার শর্টকাট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন।
তখনই সমস্যাটি শুরু হয়। গ্রাহক না হওয়ার কারণে তাকে রেস্তোরাঁয় প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয়। আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি তার বন্ধুদের সাহায্যে অনলাইনে রেস্তোরাঁটিকে এক তারকার রিভিউ দিয়ে রেটিং ৪.৮ থেকে ৩.১-এ নামিয়ে আনেন।
রেস্তোরাঁর মালিক হঠাৎ এমন নেতিবাচক রিভিউর বন্যা এবং ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় বিরক্ত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর দেশটির সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো আলেকজান্ডারকে ব্যাঙ্ককে তার নতুন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে গত আগস্টে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার তার দোষ স্বীকার করেননি। তাকে সাখু থানায় স্থানান্তর করার পর তিনি এখন ফুকেটে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০২০ সালে ফুকেটে একজন মার্কিন পর্যটক থাইল্যান্ডের কঠোর মানহানি আইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন। একটি হোটেল সম্পর্কে অনলাইনে নেতিবাচক রিভিউ দেওয়ার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অবশেষে ক্ষমা চাওয়ার পর তিনি মুক্তি পান। তবে সে ঘটনা থাইল্যান্ডে যাওয়া অনলাইন সমালোচকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে রয়ে গেছে, যেখানে আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকারক রিভিউগুলো গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
থাইল্যান্ডে মানহানি একটি ফৌজদারি অপরাধ এবং এর জন্য দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্রঃ দ্য মেট্রো
এম.কে
১৩ মে ২০২৪