যুক্তরাজ্য হতে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে জটিলতা অবশেষে অবসান হবার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বহুদিন হতে এই জটিলতা দূরীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রবাসীরা।
আজ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান সহজিকরণ সংক্রান্ত বিশেষ ঘোষণা প্রদান করেছে সরকার। উক্ত ঘোষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত সম্মানিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ সরকার পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) সম্পাদন সহজিকরণ করেছে। এমতাবস্থায়, নিম্নে উল্লেখিত যে কোনো বাংলাদেশী ডকুমেন্টের ভিত্তিতে পাওয়ার অব অ্যাটনী সম্পাদন করা সম্ভব হবে।
১. নিচে উল্লেখিত যে কোনো একটি বাংলাদেশী ডকুমেন্ট:
ক. বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট/এমআরপি)
খ. মেয়াদোত্তীর্ণ হাতে লেখা বাংলাদেশী পাসপোর্ট/এমআরপি পাসপোর্ট
গ. নো-ভিসা
ঘ. বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র
৬. বাংলাদেশী জন্মসনদ
চ. বাংলাদেশী শিক্ষা সনদ
ছ. বাংলাদেশী জাতীয়তার প্রমাণক অন্য যে কোন সরকারি দলিল
২. অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ:
ক. বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ফরম্যাটে স্বাক্ষরবিহীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (POA) নথির ২ (দুই) সেট
খ. পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতা ও গ্রহিতা প্রত্যেকের দুটি করে পাসপোর্ট সাইজ (সাদা পটভূমিতে এবং সাম্প্রতিক) রঙিন ছবি
গ. পর্চা এর ফটোকপি
ঘ. যুক্তরাজ্য/উত্তর আয়ারল্যান্ডের ঠিকানার প্রমাণপত্র
ঙ. উত্তরাধিকার সনদ (ওয়ারিশনামা) (যদি দাতাগণ উত্তরাধিকারী হন)
চ. পাওয়ার গ্রহিতাগণের বাংলাদেশী NID (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ডের কপি
ছ. প্রসেসিং ফি (অফেরতযোগ্য): £৪০.০০
সূত্রঃ বাংলাদেশ হাইকমিশন
এম.কে
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫