যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো পুলিশ বাহিনীতে পরীক্ষাধীন হলো ভবিষ্যতধর্মী রোবট কুকুর। নটিংহামশায়ার পুলিশ এই পরীক্ষামূলক উদ্যোগ শুরু করেছে, যার লক্ষ্য অপরাধীদের খুঁজে বের করা এবং জটিল পরিস্থিতিতে গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান।
এই টার্মিনেটর-স্টাইল রোবট কুকুর সহজেই সিঁড়ি বেয়ে উঠতে পারে, অন্ধকারে দেখতে সক্ষম এবং সম্পূর্ণ নীরবভাবে কাজ করতে পারে। পুলিশের ধারণা, অস্ত্রধারী অবরোধ, জিম্মি উদ্ধার অভিযান কিংবা রাসায়নিক ও জীববৈজ্ঞানিক ঝুঁকির সময় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
রোবট কুকুরটি রিমোট-কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত হয়। এতে উন্নত এআই ক্যামেরা রয়েছে যা হ্যান্ডগান, ছুরি কিংবা বেসবল ব্যাটের মতো অস্ত্র শনাক্ত করতে পারে। পাশাপাশি এতে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেওয়ার সুবিধাও রয়েছে। চিফ সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজারের অফিস থেকে অর্থায়নে এ যন্ত্রটি বর্তমানে পরীক্ষাধীন রয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হলে আগামী বছর থেকে অন্যান্য পুলিশ বাহিনীও এটি ব্যবহার করতে পারবে।
আবিষ্কারক নাথান ওয়ালেস, নটিংহামশায়ারের গেডলিং এলাকার ২২ বছর বয়সী এক তরুণ, জানিয়েছেন—“এটি মূলত একটি স্থল-ভিত্তিক ড্রোনের মতো কাজ করে। অস্ত্র শনাক্তকরণের ক্ষমতার কারণে এটি পুলিশ সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক প্রযুক্তি হতে পারে।”
পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট লুইস ক্লার্ক বলেন, “জনগণের নিরাপত্তা ও অফিসারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। সঠিক পরিস্থিতিতে এর ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, রোবট কুকুরকে কোনো অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করার পরিকল্পনা নেই এবং এটি পুলিশ কুকুরের বিকল্পও নয়। বরং এটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করবে।
প্রযুক্তিটি আরও উন্নত করতে পরীক্ষায় দেখা গেছে, রোবট কুকুর মাত্র এক সেকেন্ডে ১৬ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করতে পারে। এর নাকে বসানো £২৫,০০০ মূল্যের বিশেষ যন্ত্র তেজস্ক্রিয় মাটি পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম। ফলে এটি ভবিষ্যতের পুলিশ কার্যক্রমে এক বিপ্লবী পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
২৪ আগস্ট ২০২৫