TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

অবৈধ অভিবাসন রোধে ইটালি-ফ্রান্স সীমান্তে নজরদারি করবে ড্রোন

ইটালীয় সীমান্ত হয়ে আসা অনিয়মিত অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে এবং সীমান্ত নজরদারি বাড়াতে প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় ফরাসি প্রশাসন আল্পস-মেরিটাইমস প্রেফেকচুর। দুটি নজরদারি ক্যামেরায় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক এই ব্যবস্থা আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ফরাসি গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার এ তথ্যটি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে। পরবর্তীতে আল্পস-মেরিটাইমস প্রেফেকচুরের প্রকাশিত ডিক্রির মাধ্যমে ড্রোন অনুমোদনের সংবাদটি গণমাধ্যমে জানানো হয়৷

 

 

 

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইটালি থেকে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের স্রোত ঠেকাতে লড়াই করছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

ডিক্রিতে বলা হয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে দুটি ড্রোন ক্যামেরা সীমান্তের পারাপারের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে৷

চলতি বছরের প্রথম চার মাসে নয় হাজারেরও বেশি অনিয়মিত অভিবাসীকে সীমান্তে বাঁধা দিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত চারগুণ বেশি।

প্রেফেকচুরের অনুমতি অনুসারে, ফ্রান্স-ইটালি সীমান্ত এলাকায় একই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুটি নজরদারি ড্রোন ক্যামেরা কাজ করতে পারবে।

 

 

 

 

এ অঞ্চলের অভিবাসনের চাপ মোকাবিলায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন গত মাসে ১৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রেফেকচুরের মতে, ‘‘ইটালীয় সীমান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন সবচেয়ে ভালো সমাধান। স্থল বাহিনীর অংশগ্রহণ সীমিত করে সীমান্তে নজরদারি করা সম্ভব করবে এই ব্যবস্থা। ড্রোনে থাকা ক্যামেরার সাহায্যে সীমান্ত পারাপারের প্রশস্ত চিত্র ও ভিডিও ধারণ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে। অন্য কোন উপায় ও প্রযুক্তির সাহায্যে একই ফলাফল অর্জন করা সম্ভব নয়।’’

সীমান্তবর্তী রোয়া উপত্যকা অঞ্চলের ফরাসি অভিবাসন সংস্থা রোয়া নাগরিক গোষ্ঠীর সমন্বয়ক সুজেল প্রিও বলেন, অভিবাসন পরিসংখ্যানের রাজনৈতিক ব্যবহার নতুন নয়। সীমান্ত পরিস্থিতি আগের থেকে বেশি বিপজ্জনক নয়। ইটালীয় উপকূলে অভিবাসীদের আগমন বেড়ে গেলে ফ্রান্সেও বেড়ে যায়৷ এটি নতুন কোন ঘটনা নয়।

 

 

 

 

 

তিনি আরও যোগ করেন, “এ অঞ্চলে সরকারের কোন জরুরি কাঠামো নেই। এটা উদ্বেগজনক। আমরা গত নভেম্বর থেকে রোয়াতে আসা অভিবাসী নারী ও শিশুদের জরুরি সহায়তার জন্য একটি ছোট স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছি।’’

ফ্রাঙ্কো-ইটালীয় সীমান্তে সক্রিয় বেশ কয়েকটি এনজিওর সমন্বয়কারী আনিয়েস লেরোল বলেন, ল্যাম্পেদুসায় অভিবাসী সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ফ্রান্সকেও প্রভাবিত করে। ভেন্টিমিগ্লিয়ায় এই সংখ্যা একটু বেশি হলেও পরিস্থিতি রাজনীতিবিদদের বক্তব্যের মতো উত্তেজনাকর নয়।

 

আরো পড়ুন

জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ রাখবেন না ট্রাম্প, শঙ্কায় ১০ লাখ ভারতীয়

বিয়ের অনুষ্ঠানে গান বাজনা নিষিদ্ধ করলো তালেবান

গাজায় ভাসমান হাসপাতাল পাঠাচ্ছে ফ্রান্স