4.5 C
London
November 20, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ইটালির পথে হাঁটছে যুক্তরাজ্য?

ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে ছোট নৌকা থামাতে ইটালির আদলে অভিবাসন ব্যবস্থাপনার কথা ভাবছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার৷ কারণ, অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে ‘সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে’ বলে মনে করেন তিনি৷

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে ভিয়েতনাম, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে চায় যুক্তরাজ্য৷ এমন খবর প্রকাশ করেছে সানডে টাইমসসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷ কিন্তু খবরটি সরাসরি অস্বীকার না করলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে বিভিন্ন উপায় খোঁজা হচ্ছে৷

জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্টারমার৷ তিনি বলেন, ‘‘এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে আমরা শুধু একটি পদক্ষেপ নিয়েই তা সমাধান করতে পারব বলে আমি মনে করি না৷’’

স্টারমার বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব, সবকিছু করতে হবে৷ আমি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, মানবপাচারকারী চক্রগুলোকে ভেঙে দেয়াটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর উপায়৷ তাহলে ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসীবাহী নৌকাগুলো থামবে৷’’

সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমস জানিয়েছে, ভিয়েতনাম, তুরস্কের পাশাপাশি কুর্দিস্তানের সঙ্গে আলাদা চুক্তির বিষয়ে ভাবছে যুক্তরাজ্য৷ আর এই চুক্তিগুলো তারা করতে চায় টিউনিশিয়া ও লিবিয়ার সঙ্গে ইটালির করা চুক্তির আদলে৷ এসব চুক্তির মাধ্যমে টিউনিশিয়া ও লিবিয়া উপকূল থেকে ছেড়ে আসা ইটালিমুখী নৌকার সংখ্যা অনেক কমানো সম্ভব হয়েছে৷ কিন্তু এ ধরনের চুক্তি যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে কতোটা প্রাসঙ্গিক হবে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷

স্টারমার অবশ্য এমন আলোচনার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেননি৷ তিনি বলেছেন, ‘‘তবে আমি নির্দিষ্ট একটি পদক্ষেপের উপর আটকে থাকতে চাই না৷’’

এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ পরিবহণমন্ত্রী লুইস হাইক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো বিষয় গোপন করেননি৷ আমরা মনে করি, এটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, যা দূর করতে আন্তর্জাতিক সমাধান প্রয়োজন৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘এ কারণেই তারা দুই জনই ইউরোপ এবং সারা বিশ্বজুড়ে আমাদের যেসব বন্ধুপ্রতিম দেশ রয়েছে তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই সমস্যাটি মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছেন৷’’

উত্তর ফ্রান্সের উপকূল থেকে অভিবাসীদের ছোটো নৌকায় পারাপারে সহযোগিতা দিয়ে আসা মানবপাচারকারী চক্র ভেঙে দেয়ার উপরই ঘুরে ফিরে জোর দিচ্ছেন স্টারমার৷ তিনি আবারও বলেন, ‘‘অভিবাসীদের উত্তর ফ্রান্সের উপকূলে নিয়ে আসা এবং সেখান থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে সহযোগিতা দেয়া চক্রটি বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে৷’’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই চক্রগুলোকে থামানো এবং ভেঙে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাদের যদি ভেঙে দেয়া যায়, তাহলে অভিবাসীরা এই বিপজ্জনক যাত্রার বিষয়ে আগ্রহ হারাবে৷ আমি কখনও মেনে নেইনি যে, মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলোকে ভেঙে দেয়া যাবে না৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি জানি, আগেও আমি অনেকবার এটি বলেছি৷ তবে আমি পাঁচ বছর প্রধান প্রসিকিউটর হিসাবে কাজ করেছি, তখন আমরা সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করেছি, অস্ত্র এবং মাদক পাচারকারীদের আটক করেছি এবং সীমান্তের ওপারে মানবপাচারকারীদের ভেঙে দিয়েছি৷ পুরো বিষয়টি আমি নিজে দেখেছি৷ তাই আমি কখনও মনে করি না, এসব চক্রগুলোকে ভেঙে দেয়া যাবে না৷’’

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২০ নভেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

তুষারপাতে বিপর্যস্ত লন্ডন

মহাকাশে প্রথম পাওয়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা ব্রিটেনের

আশ্রয়প্রার্থীদের বয়স যাচাইয়ের আইন করছে যুক্তরাজ্য