ফ্রান্সে অভিবাসী ফেরত পাঠানো শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে গৃহীত “ওয়ান ইন, ওয়ান আউট” চুক্তির আওতায় এই ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে ঠিক কতজনকে ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মন্ত্রী ব্যারোনেস জ্যাকি স্মিথ।
টাইমস রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা এ সপ্তাহে কতজনকে ফেরত পাঠানো হবে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত প্রকাশ করব না। ছোট নৌকায় করে চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অবৈধ অভিবাসন রোধে এটি সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের অংশ।” স্কাই নিউজকেও তিনি একইভাবে বলেন, সংখ্যা বা সময়সীমা নিয়ে সরকার কোনো তথ্য দেবে না।
সরকার কতজনকে ফেরত পাঠাবে তা গোপন রাখলেও জানা গেছে, গত মাসে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো কিছু অভিবাসীকে ইতোমধ্যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে। খরচ কমাতে তাদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটেই পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি অনুযায়ী, চ্যানেল পাড়ি দেওয়া অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য, বিনিময়ে যারা বৈধভাবে আবেদন করে অনুমোদন পাবে তাদের ব্রিটেনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। ৬ আগস্ট প্রথম দফায় অভিবাসীদের আটক করা হয়েছিল, আর সোমবার থেকেই প্রথম ফ্লাইট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিবাসন সংকট নিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলা হলেও সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে। কারণ, সরকার দেশে কতজন প্রবেশ করছে সে তথ্য প্রকাশ করে, কিন্তু ফেরত পাঠানোর সংখ্যা গোপন রাখছে। জ্যাকি স্মিথ যুক্তি দিয়ে বলেন, এটি একটি নির্দিষ্ট রুট এবং কার্যকরভাবে চালু করা জরুরি, তাই এখনই বিস্তারিত জানানো হবে না।
এদিকে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী। ২০১৮ সালে তথ্য প্রকাশ শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথমবার, যখন বছরের এত দ্রুত সময়ে এই সংখ্যা অতিক্রম করেছে। সরকার বলছে, অবৈধ অভিবাসন নিয়ে মানুষের উদ্বেগ কমাতে এবং সংকট নিরসনে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড
এম.কে
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫