ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের ফ্ল্যাগশিপ আশ্রয় বিলের ফাঁস হওয়া তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নথিতে দেখা যায়, বিলটি আইন হিসাবে প্রয়োগ করলে প্রতি মাসে যুক্তরাজ্য থেকে ৩,০০০ এরও বেশি আশ্রয় প্রার্থীকে আটক করা এবং যুক্তরাজ্য থেতে নির্বাসন দেওয়া হতে পারে।
ব্রিফিং পেপারস অনুযায়ী সরকার ২০২৪ সালের জানুয়ারী হতে প্রতি মাসে ৩,১৬৩ জন আশ্রয়প্রার্থী অপসারণের পরিকল্পনা করেছে।
অবৈধ মাইগ্রেশন বিল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার দেশ হতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিতে চায় বলে জানান সরকারের একজন মুখপাত্র।
ব্র্যাভারম্যানের বিলটি এখন পর্যন্ত হাউস অব লর্ডসের সামনে রয়েছে। যদিও হোমঅফিস বিলটির ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আশ্রয়প্রার্থীদের ব্যাকলগ রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অবৈধ অভিবাসন নিয়ে খুবই চাপে রয়েছেন। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক অভিবাসন ছিল ৬,০৬,০০০ জন যা ২০২১ সালের চেয়ে ২৪% বেশি।
খবরে আরো জানা যায়, আশ্রয়প্রার্থী এক লক্ষেরও বেশি লোক তাদের মামলার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের জন্য ছয় মাসেরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে সমস্ত ছোট-নৌকার আশ্রয় প্রার্থীদের অ্যাপ্লিকেশন গুলির তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি এখনও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
নতুন বিলের নিয়মানুযায়ী, যারা বিনা অনুমতিতে যুক্তরাজ্যে আগত তারা আশ্রয় দাবি করতে সক্ষম হবেন না। তাছাড়া তাদেরকে নিজের দেশ বা তৃতীয় দেশ রুয়ান্ডাতে অপসারণ করা হবে।
শরণার্থী কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এনভার সলোমন বলেছেন, নথিগুলিতে দেখা যায় যে সরকার প্ল্যান করে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের গণ -নির্বাসন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেছেন, “ এটা ভয়াবহ যে কনজারভেটিভ সরকার হাজার হাজার পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের যুক্তরাজ্য হতে বিতাড়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই পরিস্থিতি অনুযায়ী শরণার্থী বলে প্রমাণিত হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, সরকার ব্যাকলগ হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে, তবে সরকার এও বলেছে যে এই নীতিগুলি কার্যকর হতে সময় লাগবে।