3.5 C
London
January 9, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

সুপারমার্কেটের কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে হোম অফিস!

অ্যাসাইলাম সিকারদের ডিসিশনের ব্যাকলগ পরিষ্কার করতে ম্যাকডোলান্ডস, টেস্কো এবং আলডির গ্রাহক পরিষেবা ও বিক্রয়কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে অবজারভার।

 

বলা হয়েছে, অনলাইন বিজ্ঞাপন এবং হাই স্ট্রিট রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া এই নতুন কর্মীদের আশ্রয় ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান নেই। অনেককে তিন মাসের রোলিং বা অস্থায়ী চুক্তিতে রাখা হয়েছে।

 

কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা থাকলেও কাজে তার প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। আশ্রয়প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াটিকে আরও জটিল করে তোলার অভিযোগ মিলছে।

 

সূত্রটি দাবি করছে, এই কর্মীরা সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করছে না, নির্দিষ্ট জাতীয়তাকে প্রাধান্য দিচ্ছে এবং কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ান্টিটিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

 

আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতার একজন হুইসেল ব্লোয়ার যিনি বর্তমানে নতুন কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তিনি অবজারভারকে বলেছেন: “তারা অনেক অনভিজ্ঞ লোককে নিয়ে আসছে, যাদের আশ্রয় ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন না থাকায় অনেকে চলে গেছে।”

 

তিনি যোগ করেছে: “এটি একটি সম্পূর্ণ বিপর্যয়। তারা জানে না তারা কি করছে।”

 

অবজারভারের একটি নতুন জরিপ প্রকাশ করে যে জনসাধারণের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ (৭৩%) বিশ্বাস করে যে ব্রেক্সিটের পর থেকে ব্রিটেন তার সীমানাগুলির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়নি। আরেকটি জরিপের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক লোক মনে করেন, ব্রিটেনের সীমানা পরিচালনা করার ক্ষমতাকে আরও খারাপ করেছে ব্রেক্সিট।

ব্রিটিশ সরকার বলছে, হোম অফিসের প্রসেসিং কর্মকর্তাদের সংখ্যা ৮০% বাড়ানো হয়েছে এবং আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৫০০ নিয়োগ হবে।

 

বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মামলা প্রক্রিয়াকরণের কাজে নিয়োজিত আছেন মাত্র ১ হাজার ৯০ জন। ব্যাকলগের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে হোটেলে রাখা হচ্ছে এবং এতে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি খরচ হচ্ছে। কেন্টের ম্যানস্টন অ্যাসাইলাম প্রসেসিং সেন্টারে তীব্র ভিড় লেগেই থাকে।

 

 

৭ নভেম্বর ২০২২
এনএইচ

আরো পড়ুন

কেয়ার ওয়ার্কার ও কেয়ার এলাউন্সের উপর খড়গ এনে বিপাকে সরকার

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ: বরিস জনসন

এমএলএম এমটিএফই বন্ধ, চলে গেলো কয়েক হাজার কোটি টাকা