ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়াচডগের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের কারণে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলে সেই অভিযোগ সমূহ হোম অফিসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৪৩ টি পুলিশ বাহিনী এবং ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সকলেই গত তিন বছরে ভুক্তভোগী বা ডমেস্টিক ভায়োলেন্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন অথোরিটির কাছে রেফার করার তথ্য পাওয়া যায়। যার জন্য সংশ্লিষ্টরা সিস্টেমের দ্রুত ও জরুরি সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কমিশনার নিকোল জ্যাকবসের মতে, হোম অফিসে রিপোর্ট করার হুমকি প্রায়শই ডমেস্টিক ভায়োলেন্সে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রদান করা হয়। এই ব্যবস্থায় অপরাধীরা নির্যাতিতদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করে যাতে তারা নির্যাতিত হলেও অভিযোগ না করে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসার ডেভিড ক্যারিক যিনি ইতিমধ্যে বিভিন্ন কারণে সাজাপ্রাপ্ত তার জবানবন্দি হতে জানা যায়, কমপক্ষে ৮৫ টির বেশি গুরুতর ফ্যামেলি ভায়োলেন্স রিপোর্টে তিনি নিজেও ডিপোর্ট করার ভয় দেখিয়েছিলেন।
কমিশনার নিকোল জ্যাকবসের জানান, অতীতের বিভিন্ন রিপোর্ট ও বর্তমান অবস্থা ঘেঁটে বোঝা যায় ডিপোর্ট করাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফ্যামেলি ভায়োলেন্স অব্যাহত আছে যার ফলে মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। অনেকক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভুলেও ন্যায়বিচার ভূলন্ঠিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, কমিশনার নিকোল জ্যাকবস স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে এই বিষয়ে তথ্য জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া তিনি পুলিশ এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলিকে ফ্যামেলি ভায়োলেন্সের ঘটনায় নির্যাতিতদের ডিপোর্টের ভয়ভীতি প্রদর্শন বা এই বিষয়ে রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এম.কে
০৯ নভেম্বর ২০২৩