আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজমিন নেতানিয়াহু এবং হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেফতারের পরোয়ানা জন্য আবেদন করেছেন।
করিম খান কেসি বলেছেন, অক্টোবর হতে ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার দিন থেকেই উভয় ব্যক্তিই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্ট এবং হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ ও হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেফেকেও গ্রেফতারের আবেদন করতে চেয়েছিলেন করিম খান । তথ্যমতে জানা যায় মোহাম্মদ দেফ এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় অবস্থান করছেন। তাছাড়া ইসমাইল হানিয়েহ কাতারে আছেন।
আইসিসির বিচারকরা এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা বিশ্বাস করেন কিনা সংযুক্ত প্রমাণই যথেষ্ট অপরাধী হিসাবে দাবি করা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের আদেশ দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য বিগত অক্টোবর মাস হতে যুদ্ধে প্রায় ৩৫,৫০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। মিঃ খান হামাসের নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা, জিম্মি, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা এবং নির্যাতন সহ নানা অপরাধের অভিযোগ এনেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই সংগঠিত করেছে। হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা ইসরায়েলের বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা পরিচালিত হয়েছে।আমাদের মূল্যায়নে এই অপরাধগুলি আজও অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি ইসরায়েলের গাজায় হামলা সম্পর্কে বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, হত্যা, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনার জন্য অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার পদ্ধতি হিসাবে বেসামরিক নাগরিকদের অনাহারে রেখেছে। এটা নিঃসন্দেহে একটি ঘৃণ্য অপরাধ।
মিঃ খান বলেন যে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার সমস্ত নাগরিকদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বিষয়গুলি হতে বঞ্চিত করে চলেছে। ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে তবে ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার লোকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া একটি গুরুতর অপরাধমূলক আচরণ।
উল্লেখ্য যে, হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণ ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
ইসরায়েল বা কাতার উভয়ই আইসিসির সদস্য দেশ নয়, তবে ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিকে ২০১৫ সাল হতে সদস্য রাষ্ট্র হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। নেতানিয়াহু ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নামে ওয়ারেন্ট জারি করা হলে গ্রেফতারের বিষয়ে আইসিসিকে তার সদস্য দেশগুলির উপর নির্ভর করতে হবে বলে জানা যায়।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২০ মে ২০২৪