যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার জানিয়েছে, রুয়ান্ডায় পাঠানোর উদ্দেশ্যে গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীদের জামিন অতি শীঘ্রই দেয়া হবে।
বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিবের মুখপাত্র জানান, সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের সময় লেবার পার্টি জানিয়েছিল তারা পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক আটক অবৈধ অভিবাসীদের জামিনে মুক্তি দিবে। যার কারণে বর্তমানে আটক অবৈধ ২১৮ জন ব্যক্তিকে এসাইলাম কেন্দ্র থেকে দ্রুততার সহিত জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে লেবার সরকার।
অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলার জন্য যুক্তরাজ্যের আগের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের রুয়ান্ডানীতির অংশ হিসাবে গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীদের পূর্ব-মধ্য আফ্রিকান দেশ রুয়ান্ডায় নির্বাসিত করার কথা ছিল।
তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্যার কেয়ার স্টারমার নিশ্চিত করেছেন রুয়ান্ডা নির্বাসন প্রকল্পটি “মৃত এবং সমাধিস্থ করা” হয়েছে।
১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশের পর করা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন রুয়ান্ডা প্রকল্পটি কখনও অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধী ছিল না। কারণ এই নীতিতে কেবল ছোট নৌকায় অভিবাসী আগমনকে হ্রাস করাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যদিও এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ অভিবাসী বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বলেছিলেন মধ্য জুলাই হতে রুয়ান্ডার উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজ উড়বে, যার কারণে এপ্রিল মাসের শেষের দিক হতে হোম অফিস ধরপাকর শুরু করেছিল। যদিও হোম অফিস আটককৃত লোকেদের সংখ্যা জানাতে অস্বীকার করে।
বিবিসি ধারণা করে যে বর্তমানে বিভিন্ন এসাইলাম সেন্টারে কমবেশি ২২০ জন লোক আটক আছে যাদের এপ্রিল মাসে আটক করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রসচিব ইয়ভেট কুপার জানান, তিনি আসছে গ্রীষ্ম হতে নতুন “বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ডার” নিয়োগ দিবেন এবং একটি নতুন সীমান্ত সুরক্ষা বিলও আনা হবে যুক্তরাজ্যের জন্য।
উল্লেখ্য যে, নতুন সরকার তাদের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসাবে অবৈধ অভিবাসনের কথা জানিয়েছে। যদিও তারা তাদের পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ রুপ এখনও প্রকাশ করেনি। তবে নতুন কমান্ডো ফোর্স গঠন করে তারা অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিবে বলে সরকারের মুখপাত্ররা জানিয়েছেন।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৮ জুলাই ২০২৪