এক মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নারীদের বিউটি পার্লার। দেশটির বর্তমান শাসক তালেবান গত ৪ জুলাই জানায়, ‘ইসলামে নিষিদ্ধ’ কার্যকলাপ হওয়ায় বিউটি পার্লারগুলো বন্ধ করে দিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
ওই সময় বলা হয়, পার্লারগুলো বন্ধ করার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার তালেবান ঘোষণা দেয় নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ায় আজ থেকে বিউটি পার্লারগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এসব পার্লার বন্ধ করা নিয়ে রাজধানী কাবুলে নারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এছাড়া জাতিসংঘও এ ব্যাপারে বিবৃতি দেয় এবং এ নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আহ্বান জানায়। তবে এতে কর্ণপাত করেনি তালেবান।
তালেবান শাসিত সরকারের নীতি ও নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদিক আকিফ মাহজের অবশ্য জানাননি, যেসব নারী পার্লার খোলা রাখবেন; পার্লার বন্ধে তাদের ওপর বল প্রয়োগ করা হবে কিনা।
তালেবান জানিয়েছে, তারা বিউটি পার্লারগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কারণ এসব পার্লারে সাজগোজের নামে ‘ইসলামে নিষিদ্ধ’ কার্যকলাপ করা হয়। এছাড়া বিয়ের সময় এসব পার্লার বরের পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ ফেলে।
বিউটি পার্লারে নারীদের যে চোখের ব্রু কাটছাট করা হয়, চুল লম্বা দেখাতে অন্য নারীর চুল ব্যবহার করা হয় এবং মেকাপ লাগানো হয় সেগুলো ইসলামবিরোধী বলে জানিয়েছে তালেবান। তারা বলেছে, মেকাপ লাগালে ঠিকমতো ওযু হয় না।
আফগানিস্তানে বিয়ের আগে নববধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজেন। আর এই সাজগোজের অর্থ দিতে হয় বরের পরিবারকে। যা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এদিকে আফগানিস্তানে বিউটি পার্লারে প্রায় ৬০ হাজার নারী কাজ করেন। এমনিতেই দেশটিতে নারীদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত করে ফেলেছে তালেবান। এখন নতুন করে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আরও ৬০ হাজার নারী।
এম.কে
২৬ জুলাই ২০২৩