ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে বাজছে অশনি সংকেত। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে কর্পোরেট কর হার কমানো আর আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আইরিশ রফতানিতে ধস নামতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বে আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডে প্রায় হাজারখানেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান আছে। কর্মসংস্থান হয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজারের বেশি কর্মীর। আইরিশ অর্থনীতিতে যাদের অবদান ৪১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ৭৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ট্যাক্স পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য রফতানিও করেছে আয়ারল্যান্ড। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় জানান, তার পরিকল্পনা কর্পোরেট করের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং আমদানির ওপর ১০ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা। একইসঙ্গে মার্কিন বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আয়ারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বে আয়ারল্যান্ড। এতে শঙ্কিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ফেসবুক, অ্যাপল, ইনটেল, মাইক্রোসফট ও গুগলের মত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে আয়ারল্যান্ডে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রফতানি পণ্যসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতেও নামতে পারে ধস।
আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রস্তাবিত উচ্চ আমদানি শুল্কনীতি আয়ারল্যান্ডের আইটি খাত এবং রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে শুল্ক নিয়ে যদি ইউপোর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থনৈতিক অস্থিরতা আয়ারল্যান্ডের আইটি খাতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।’
মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় কর্পোরেশন ট্যাক্সের বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বেগ পেতে হবে না ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এটিকেই সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ বলছেন আইরিশ অর্থনীতিবিদরা।
এম.কে
১৬ নভেম্বর ২০২৪