যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অভিবাসন ঠেকাতে নতুন চুক্তির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এই ‘একজন আসবে, একজন যাবে’ ভিত্তিক পরিকল্পনায় ছোট নৌকায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী অভিবাসীদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হবে। তবে যাদের বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের দাবি রয়েছে, তাদের গ্রহণ করবে ব্রিটিশ সরকার।
এই চুক্তির একটি পাইলট কর্মসূচি আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে, যেটি কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে হতে পারে। চ্যানেল পাড়ি দিয়ে প্রবেশের সংখ্যা ইতোমধ্যে রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে—চলতি বছরে ইতোমধ্যে ১৮,৫১৮ জন অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে।
চুক্তির আওতায় একটি যৌথ প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা গঠন করা হবে, যেখানে যাচাই করা হবে কোন অভিবাসী পরিবার পুনর্মিলনের জন্য উপযুক্ত। বৈধ এক অভিবাসীকে যুক্তরাজ্যে স্থান দেওয়ার বিনিময়ে একজনকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠিয়ে ফ্রান্সের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দূরে পুনর্বাসন করা হবে।
ফ্রান্স উপকূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। অভিবাসীরা যখন পানিতে নেমে নৌকায় উঠতে চায়, তখন তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা দেওয়া হবে ফরাসি উপকূলরক্ষীদের। তবে এ সংক্রান্ত আইন এখনো কার্যকর হয়নি।
ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ এই চুক্তিকে ‘গিমিক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা ফ্রান্সকে কোটি কোটি পাউন্ড দিচ্ছি, অথচ তারা নৌকা ঠেকাতে ব্যর্থ।”
প্রতিরক্ষা সচিব জন হেলি পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ব্রিটেন তার সীমান্তের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তিনি কনজারভেটিভ সরকারের ব্যর্থতাকেই দোষারোপ করেছেন এবং বলেছেন, চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ক্ষুদ্র নৌকায় মানুষ আসার চিত্র ছিল চরম উদ্বেগজনক।
ফ্রান্স আইন পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মে মাসে ১,৩৭৮ অভিবাসী চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলে মাত্র ১৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়।
জন হেলি বলেন, “প্রথমবারের মতো আমরা ফ্রান্সের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়ে পৌঁছেছি। এখন আমাদের চাপ দিতে হবে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ দেয় এবং নৌকায় ওঠার আগেই মানুষকে থামাতে পারে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই যৌথ উদ্যোগ পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সূত্রঃ মেট্রো
এম.কে
২৮ জুন ২০২৫