হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের পুলিশ কাঠামোতে বড় ধরনের সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন। পুলিশ নেতাদের সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থার কাঠামো “অযৌক্তিক” এবং কার্যক্ষমতার বৈষম্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এখন অনেক ক্ষেত্রে “পোস্টকোড লটারির” মতো হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দুই দেশের ৪৩টি পুলিশ বাহিনী আলাদা কাঠামোতে পরিচালিত হয়, যা অনেকেই অকার্যকর মনে করছেন।
সরকার আগামী মাসে পুলিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি হোয়াইট পেপার প্রকাশ করবে। সেখানে কেমন ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে পুরো পুলিশ ব্যবস্থাই এখন অপেক্ষায়। সম্মেলনটি আয়োজন করে ন্যাশনাল পুলিশ চিফস’ কাউন্সিল (NPCC) ও অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম কমিশনারস (APCC)।
গত সপ্তাহে হোম অফিস ঘোষণা করেছে যে পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম কমিশনার (PCC) পদটি বাতিল করা হবে। এই পদটি কার্যকর হয়নি বলে মন্তব্য করেন মাহমুদ। তার দাবি, প্রচারের অভাবে অনেক নাগরিকই জানতেন না তাদের এলাকায় PCC কে এবং তার দায়িত্ব কী।
সম্মেলনে মাহমুদ বলেন, জাতীয় পুলিশ এয়ার সার্ভিস ও ভেটিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ স্থানীয় বাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় পুলিশিংয়ের মনোযোগ কমায়। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় ৪৩টি ভিন্ন বাহিনীর কাঠামো অকার্যকরভাবে কাজ করছে, এবং বাহিনি-ভেদে দক্ষতার পার্থক্যও দিন দিন বাড়ছে।
পুলিশ বাহিনী কমানো বা একীভূত করার পক্ষে অনেক পুলিশ প্রধান মত দিয়েছেন। NPCC চেয়ারম্যান গ্যাভিন স্টিফেন্স বলেন, কম সংখ্যক বাহিনী এবং একটি জাতীয় পুলিশিং সংগঠন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রযুক্তি বিনিয়োগকে দ্রুত ও কার্যকর করবে। তবে কিছু স্থানীয় PCC বাহিনী একীভূতকরণের বিরোধিতা করছেন।
এদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে প্রকাশিত হতে যাওয়া নতুন ফান্ডিং সেটেলমেন্ট নিয়েও পুলিশ বাহিনীগুলো উদ্বিগ্ন। NPCC–এর ফাইন্যান্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারম্যান পল স্যানফোর্ড বলেন, বর্তমানে সব বাহিনীই আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে এবং তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা দ্রুত কমে যাচ্ছে।
হোম সেক্রেটারি বলেছেন, তিনি বিচার মন্ত্রণালয়ের মতো হোম অফিসেও সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। যদিও তিনি নিজের বক্তব্যের পর কোনো প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেননি, তবে পুলিশ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসছে—এ বিষয়ে এখন আর কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে

