ইংল্যান্ডে নতুন করে আতংক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। গত ১০ দিনে অন্তত ৭ জনের মধ্যে ছড়িয়েছে ভাইরাস জনিত এই রোগ।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যারা এখন পর্যন্ত মাঙ্কি পক্সের আক্রমণের শিকার, তাদের বেশিরভাগই সমকামী। তাই দেশটির সমকামী নারী-পুরুষদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি সামগ্রিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোটা দেশজুড়ে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, সর্বপ্রথম গত ৭ মে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলে লন্ডনে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, আফ্রিকাতেই কোনোভাবে ওই ব্যক্তি এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেন। এরপর খুব দ্রুত আরও ৬ জন আক্রান্ত হয় এই রোগে। যদিও মাঙ্কি পক্স প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে ওঠে রোগী। তবে এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি এখনও অজানা। তাই ত্বকে যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক ক্ষত দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
একাধিক বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। তবে এটি সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। শ্বাসনালি, ক্ষত স্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছেদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের হদিশ মেলে। এর বেশ কিছু উপসর্গ দেখে আগে থেকেই আঁচ করা যায়। প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ। দেখা দিতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তিও। এরপর দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ক্ষত। হাম, বসন্ত, স্কার্ভি ও সিফিলিসের কিছু কিছু লক্ষণের সঙ্গে এই রোগের উপসর্গগুলোর কিছুটা মিল পাওয়া যায়। তাই অনেকেই এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলো চিনতে ভুল করেন।
১৭ মে ২০২২
এনএইচ