ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকা রোগীর সংখ্যা অর্ধ কোটি ছাড়িয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ।
বৃহিস্পতিবার (১০ জুন) এনএইচএস প্রকাশিত মাসিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানানো হয়। এতে দেখা যায়, অপেক্ষায়মান রোগীর সংখ্যা এপ্রিল মাসে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ জন বেড়ে মোট ৫১ লাখ ২২ হাজার ১০ জনে দাঁড়ায়। ২০০৭ সাল থেকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ।
মার্চে এই লিস্টে ছিলেন প্রায় ৪৯ লাখ ৫০ হাজার জন এবং ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪৭ লাখ।
বলা হচ্ছেন, হাসপাতালগুলোতে পূর্ব পরিকল্পিত এবং অতিজরুরি নয় এমন ট্রিটমেন্টগুলোর (বিশেষ করে সার্জারি) জন্য অন্তত এক বছর অপেক্ষায় থাকা রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার রোগীকে চিকিৎসা পেতে ৫২ সপ্তাহেরও বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।
এ ধরনের দীর্ঘ অপেক্ষা নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারি আকারে ছড়ানোর আগের হিসেবে মাত্র ৩ হাজার ৯৭ জন রোগীকে এরকম দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।
এবারের পরিসংখ্যানে পাওয়া আরেকটি নতুন তথ্য হচ্ছে, ২ হাজার ৭২২ জন রোগী ট্রিটমেন্টের জন্য ২ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষায় ছিলেন।
এনএইচএসের নিয়ম অনুযায়ীম রেফারেল ট্রিটমেন্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৯২ শতাংশ রোগীকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের কথা বলা আছে। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে এই টার্গেট পূরণ করতে দেখা যায়নি। কোভিডের কারণে সৃষ্ট কর্মী ঘাটতি এবং কয়েক বছরের তহবিল স্বল্পতা অনেকগুলো হাসপাতালকে ব্যাকলগে ফেলে দিয়েছে।
হেলথ ফাউন্ডেশনের জ্যাষ্ঠ নীতিনির্ধারক টিম গার্ডনার বলেন, অপেক্ষায়মান রোগীদের সংখ্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমস্যাটি সমাধানে এনএইচএস এবং সরকার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
১০ জুন ২০২১
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ায়ান
আরআর