ইংল্যান্ডে রেকর্ড সংখ্যক সামাজকর্মীরা তাদের পেশা বদলের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। ২০১৭ সাল থেকে প্রথমবারের মতো জীবনযাত্রার সংকটের কারণে প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সংখ্যা কমেছে সমাজকর্মীদের।
সমাজকর্মীরা রেকর্ড সংখ্যায় পদত্যাগ করছেন কারণ তারা আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
২০১৭ সালে ডেটা সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো সমাজকর্মে পেশাদারদের সংখ্যা কমেছে ক্রমবর্ধমান হারে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৫৪০০ জন সমাজকর্মী ২০২২ সালে পেশা ছেড়েছেন যা আগের বছরের তুলনায় ৯% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সোশ্যাল ওয়ার্কার্স (বিএএসডব্লিউ) এর প্রধান নির্বাহী রুথ অ্যালেন বলেছেন সমাজকর্মীদের পেশা বদলের পরিসংখ্যান “বিস্ময়কর নয়” কারণ কাজের পরিস্থিতি “বছরের পর বছর অবনতি হচ্ছে”।
জীবনমানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এখন সমাজকর্মী বেতন পাচ্ছেন না।যার কারণে অনেকে কাজ ছেড়ে দিচ্ছেন। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাটছে সময় ইংল্যান্ডের একজন সমাজকর্মীর।
ইংল্যান্ডের সমাজকর্মী জন বলেন, “আমি নিজে সমাজকর্মী হতে চাই নাই তবে সামাজিক কাজ আমাকে যেন বেছে নিয়েছে”। প্রথম জীবনে নিজের ক্যারিয়ার ছেড়ে একটি মানসিক সমস্যাক্রান্ত লোককে সাহায্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন জন। শুরু হয়েছিল তার সমাজকর্মীর জীবন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেশায় টিকে থাকা দায় বলে তিনি মতামত জানান।
তিনি যোগ করেন, “মানুষ অগত্যা সামাজিক কাজ ছেড়ে যেতে চায় না, তবে তারা ফ্রন্টলাইন ছেড়ে যেতে চায় কারণ প্রত্যাশা এবং আইনী এবং বিধিবদ্ধ দায়িত্ব আয়ের সাথে মিলে না”।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে সামাজিক কর্মীরা সরকারী বিবেচনায় বেতন বৃদ্ধির সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। ৩০০০ জন সমাজকর্মীর উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (৭২%) সমাজকর্মীর মহামারী চলাকালীন সময়ে কাজের চাপ তীব্রতর হয়েছে। তাদের মানসিক চাপ বেড়েছে এবং মনোবল কমেছে। এই কারণে প্রায় ৫৩% সমাজকর্মী তাদের পেশা বদলের কথা ভাবছেন।
এম.কে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩