ব্রিটেনের সম্বলহীন ও কাজহীন এমন বহু মানুষের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে সরকারের দেওয়া সুবিধা যা ‘ইউনিভার্সাল ক্রেডিট’ নামে পরিচিত। সল্প আয়ের লোকেরাও এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই আর্থিক সুবিধার অংক কমিয়ে দিচ্ছে সরকার। আর এতে কপালে দুশ্চিন্তা এসে জমা হচ্ছে এই বেনিফিট গ্রহণকারীদের। এই সিদ্ধান্তকে ব্রিটেনের দরিদ্র মানুষদের ‘পাত্র থেকে খাবার কেড়ে নেওয়ার’ সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
জানা যায়, ইউনিভার্সাল ক্রেডিট সপ্তাহে ২০ পাউন্ড করে কমাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এই সিদ্ধান্ত সামনের মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। লকডাউন চলাকালে সরকার যে অতিরিক্ত সহায়তা ঘোষণা করেছিল (বেনিফিট বুস্টার) তা তুলে নেওয়ার ফলেই মূলত ইউনিভার্সাল ক্রেডিট কমতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের তথ্যমতে, এই খাতে প্রায় নয় বিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ২৫ বছরের নিচের অবিবাহিতরা এই সিদ্ধান্তের দ্বারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ তারা ইউনিভার্সাল ক্রেডিটের মান অনুযায়ী সবচেয়ে কম অর্থ (মাসে ৩৪৪ পাউন্ড) পেয়ে থাকেন। সরকারি সুবিধা বন্ধ হলে তাদের অর্থ প্রাপ্তি প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যাবে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু ও আবাসন নিয়ে কাজ করে এমন শতাধিক সংস্থা এই সহায়তা প্রদান তুলে না নেওয়ার জন্যে প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জেআরএফ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিপদজনক ও পরিহারযোগ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এর ফলে ব্রিটেনের প্রায় ৫ লাখ লোক রাতারাতি দারিদ্রে পতিত হবেন এবং ২ লাখেরও বেশি লোক সরাসরি ঋণগ্রস্ত হয়ে যাবেন।
তবে, বেনিফিট বুস্ট চালু থাকবে কিনা সে বিষয়ে সরকার এখনও কিছু জানায়নি।
রেজ্যুলুশন ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড মহামারি চলা সময়ে ব্রিটেনের ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহায়তা গ্রহণের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশ।
৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
এনএইচ
আরও দেখুন: