ইউরোপের বর্ডার গার্ডে পরিণত হবে না উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া, এমনটিই বলেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। ভূমধ্যসাগর অতিক্রমকারী অভিবাসী ইস্যুতে ইউরোপীয় নেতাদের নির্ধারিত সফরের আগে তিনি এই মন্তব্য করলেন।
রোববার (১১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব বার্তাসংস্থা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন রোববার উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়া সফরে যাবেন।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছিলেন, সফরের সময় তিউনিসয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দেবেন তারা। মূলত তিউনিসিয়া বর্তমানে আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, শনিবার তিউনিসয়ার বন্দরনগরী স্ফ্যাক্স পরিদর্শনে যান তিউনিসীয় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। আর এই বন্দরনগরীটিই নৌকায় করে ইতালিতে পৌঁছাতে চাওয়া অভিবাসীদের একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট।
এদিকে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ফিচ গত শুক্রবার তিউনিসিয়াকে ‘জাঙ্ক’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দিয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে ঋণকে উচ্চ ঝুঁকি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এমনকি দেশটির ঋণ খেলাপি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর আশঙ্কা, এই ধরনের পরিস্থিতিতে চলতি বছর – বিশেষ করে তিউনিসিয়া থেকে – ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনের বড় ঢেউ দেখা দিতে পারে। এছাড়া তিউনিসিয়ার জন্য আইএমএফের রেসকিউ প্যাকেজও কয়েক মাস ধরে আটকে আছে।
মূলত ঋণ পাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট সাইদ প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার প্রত্যাখ্যান করায় সেটি স্থবির হয়ে আছে। দাতা দেশগুলো তাকে নীতি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছে এবং আইএমএফকে ঋণ চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ইতালি।
উল্লেখ যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকান ইউনিয়নকে বর্ণবাদী বলে প্রেসিডেন্ট সাইদ সাব-সাহারান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পারাপার বেড়ে গিয়েছিল।
এম.কে
১১ জুন ২০২৩