ইতালিতে কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির পাশাপাশি এখন বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ইতালির নিরাপত্তা বাহিনী। একইসঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগে আরেকজন বাংলাদেশিকে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এই সব ঘটনায় গোটা বাংলাদেশি অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ, ঢাকা ও নওগাঁর তিন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সূত্র মতে, তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংশ্লিষ্টতা এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগ ছিল।
এছাড়া আরও বহু বাংলাদেশি বর্তমানে গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন, যারা বিভিন্ন পথ পেরিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। তাদের কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসেছে তিউনিসিয়া ও লিবিয়ার উপকূল থেকে। বর্তমানে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।
ইতালির নিরাপত্তা সংস্থা আরও কঠোর অবস্থানে
ইতালির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা ‘কারাবিনিয়েরি’ সম্প্রতি এক অভ্যন্তরীণ সতর্কতায় জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে কিছু অংশ জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের ওপর।
ইতালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এ অবস্থায় অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে। দূতাবাস থেকে জানানো হয়, কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে ফেরত পাঠানো বা শাস্তি অনিবার্য।
ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ বর্তমানে নানা পেশায় যুক্ত, তবে সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতিতে পুরো কমিউনিটির ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, এই ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন অভিবাসন নীতিতে বাংলাদেশিদের প্রতি বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।
ইতালিতে বাংলাদেশিদের সুনাম পুনরুদ্ধার করতে হলে প্রয়োজন সচেতনতা, আইন মেনে চলা, এবং কমিউনিটির অভ্যন্তরে দায়িত্বশীলতা। যারা এখনো অবৈধ অবস্থায় আছেন, তাদের উচিত দ্রুত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈধতার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া।
সূত্রঃ সময় টিভি
এম.কে
১৩ মে ২০২৫