বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার বিকেলে তাকে চট্টগ্রামগামী একটি সফরের পূর্ব মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সম্প্রতি বিভিন্ন সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে হুমকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যানারে একাধিক সমাবেশ আয়োজন করেন তিনি। বিশেষ করে, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে ৮ দফা দাবিতে একটি সমাবেশে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে আসেন।
গত ৩০ অক্টোবর, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারা লালদীঘি সমাবেশের সময় জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেন, যা দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা দেশের ভেতরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ এবং ৩৪ ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চিন্ময় প্রভু নামেও পরিচিত। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ মামলায় আরও ১৮ জন আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো—অজয় দত্ত, লীলা রাজ দাশ, গোপাল দাশ টিপু, ডা. কথক দাশ, প্রকৌশলী অমিত ধর এবং রাজেশ চৌধুরী। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, জাতীয় পতাকা অবমাননা ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে এ গ্রেপ্তার ও মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এম.কে
২৫ নভেম্বর ২০২৪