ইসরায়েলে টানা সাইরেন বেজে চলেছে, আর তার সঙ্গে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে বিভিন্ন শহর। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রচুর সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যার ফলে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বেজে উঠেছে।
বিশেষ করে আসদোদ, লাচিস এবং পশ্চিম জেরুজালেমের আশপাশে একাধিক জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই নেসেটের (ইসরায়েলি সংসদ) সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
এদিকে সাংবাদিকদের জন্য সোমবার (২৩ জুন) ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে রিপোর্টিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে অনেক সংবাদকর্মী পাশের দেশ জর্ডান থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান থেকে পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৪টি সরাসরি ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেন ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতির নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো জানা যায়নি। কারণ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভিডিও ও তথ্য প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গত ১০ দিনের ইরানি হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্ট্রাল ইসরায়েল। হামলার শিকার হয়েছে হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরও।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল ইরান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে একটি হামলা চালায়, যেখানে কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন বাজেনি। পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করে এটি ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, ভুল করে ছোড়া নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নয়।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে বড় ধরনের হামলা চালায়, যাতে পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ৪০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে পরমাণু বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ রয়েছেন।
এর জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে পাল্টা অভিযান শুরু করে এবং ২৩ জুন পর্যন্ত অন্তত ২১ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যুদ্ধ পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।
এম.কে
২৩ জুন ২০২৫