ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইরান তাদের প্রতিরক্ষা শক্তির পাঁচ শতাংশেরও কম ব্যবহার করেছে।
আইআরজিসির সমন্বয়বিষয়ক উপ-কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ-রেজা নাগদি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক ইউনিটগুলোর মাত্র পাঁচ শতাংশ সক্রিয় হয়েছিল। তিনি স্পষ্ট করেন, সক্রিয় মানে ব্যবহৃত নয়— বরং সামরিক ইউনিটগুলোর একটি ক্ষুদ্র অংশ শত্রু মোকাবেলায় নিযুক্ত হয়েছিল।
নাগদি বলেন, ইরানের মূল প্রতিরক্ষা শক্তি এখনো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের পূর্ণ শক্তির প্রকাশ এখনো বাকি রয়েছে; তা এখনো মঞ্চে ওঠেনি।”
১৩ জুন ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানে হামলা শুরু করলে, পাল্টা জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসব হামলা ইসরায়েল-অধিকৃত গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্প স্থাপনায় লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানি হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলো গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বেশ কিছু ঘাঁটি, যেখান থেকে মূল হামলা চালানো হয়েছিল, সেগুলোই ছিল লক্ষ্যবস্তু।
পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের বরাতে জানা যায়, ইরানের হামলা প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের উচ্চমূল্যের থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে। সাতটি ইউনিটের মধ্যে অন্তত দু’টি ইউনিট সক্রিয় হয়, যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয় প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জেনারেল নাগদি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত শক্তি নিহীত আমাদের স্থলবাহিনীতে।” তিনি জানান, ইরান চাইলে কয়েক বছর ধরেও এই গতিতে শত্রুর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম।
তার মতে, ইরান যদি পূর্ণমাত্রার সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে সেটির পরিসর ও ধ্বংসক্ষমতা হবে বহুগুণ বেশি।
সূত্রঃ মেহের নিউজ
এম.কে
২৯ জুন ২০২৫