0.8 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

এবছর বাংলাদেশের রিজার্ভ কমতে পারে: আইএমএফ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ নাগাদ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে চলতি অর্থবছরে রিজার্ভ কমে গেলেও পরের অর্থবছরে তা আবার বেড়ে ৩৪.২০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, বলছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি অর্থ বছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে আবার ৩৭.৭০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা বাংলাদেশ সরকার এর আগে জানিয়েছিলো।

৩০ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকলে পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়। তবে এই আভাস দিয়ে আইএমএফ বলছে, তাদের প্রাক্কলন ঠিক হলে এটাই হবে গত তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সবথেকে কম রিজার্ভ।

এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে আইএমএফ। আইএমএফ বলছে, এ ঋণের সুবাদে দুর্বল হয়ে পড়া রিজার্ভের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার একটি ‘বাফার’ তৈরির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার র প্রথমবারের মত ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০২১ সালের অগাস্টে তা রেকর্ড ৪৮ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছায়। করোনাভাইরাসের দাপট কমে এলে অর্থনীতির চাকা গতি পেতে শুরু করে। তাতে আমদানির চাপ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমদানি দায়ও বাড়তে থাকে।

তবে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে বাড়েনি। তাতে ডলারের মজুদে টান পড়ে, ভারসাম্য ঠিক রাখতে বাংলাদেশকে টাকার মান কমিয়ে আনতে হয়। রিজার্ভ কমতে কমতে এখন নেমে এসেছে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। সূত্র: আইএমএফ ওয়েবসাইট

 

আরো পড়ুন

বয়কটের ধাক্কায় ইসরাইলের ২২৫টি ম্যাকডোনাল্ডস বিক্রি!

আপনি আমার রাজা নন, ব্রিটিশ রাজাকে সিনেটর

অভিবাসন নীতিতে মতপার্থক্য, ডাচ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা