এই প্রথম ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানায়, গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে গেল দেড় মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। ইসরায়েলের যেসব সরকারি কর্মকর্তা গাজার অভিযানকে সহিংস করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন বাইডেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরে সহিংসতা অব্যাহত রাখে, সেক্ষেত্রে ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম থেকে ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া হবে। এমনকি দেশটির রাজনীতিবিদ ও সামরিক-সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ জারি করার মতো ‘যথেষ্ট সুযোগ’ আমেরিকার হাতে রয়েছে।
মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ অবসানে টু স্টেট সলিউশনের ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন। অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য দুই দেশের শান্তি চুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি আহ্বানের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো মন্তব্য তিনি করেননি।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরুর পর সবার আগে ইসরায়েলের সহায়তায় এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। আরব সাগরে পাঠিয়ে দেয় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ।
এমনকি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সাধারণ নাগরিকদের সরে যেতে দিনে অন্তত ৪ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছিল ইসরায়েল। সেখানেও বাগড়া দিয়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অর্থাৎ আমেরিকা কোনোভাবেই চায় না গাজায় ১ সেকেন্ডের জন্য অভিযান বন্ধ করুক ইসরায়েল। আবার সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ না চালাতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনেকে বিষয়টিতে লোক দেখানো এবং হাস্যকর বলে মনে করছেন।
এম.কে
১৯ নভেম্বর ২০২৩