স্পেনের পর এবার নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নরওয়ের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ ইডে এই ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড সরকারের মন্ত্রিসভা এক বৈঠকে এই স্বীকৃতির অনুমোদন দিয়েছে।
ইডে বলেন, নরওয়ে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সমর্থকদের মধ্যে একটি।
আয়ারল্যান্ড সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। পাশাপাশি ডাবলিন ও রামাল্লার মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হচ্ছে। রামাল্লায় আয়ারল্যান্ডের একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপন করা হবে।
এর আগে পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী স্পেন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। দেশটির মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। স্প্যানিশ সরকারে মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিলার আলেগ্রিয়া বলেছেন, ‘মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার উদ্দেশ্য হলো—ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি অর্জনে সহায়তা করা।’
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তি অর্জন করতে চাই তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি অপরিহার্য প্রয়োজন।’ এ সময় তিনি জানান, পূর্ব জেরুজালেম হবে এই রাষ্ট্রের রাজধানী।
সূত্রঃ আল জাজিরা
এম.কে
২৯ মে ২০২৪