ধাপে ধাপে মোট ২০ হাজার আফগানকে শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বরিস জনসনের প্রশাসন এই প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। বিবিসি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, আফগানিস্তান তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে দেশটির দোভাষীরা।
অবশ্য তালেবানের নিয়ন্ত্রণের কারণে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা কাজটিকে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন। তারা নিশ্চিত নন, যে আফগানিস্তানের নতুন ক্ষমতসীনরা চলে যেতে ইচ্ছুকদের আদৌ সুযোগ দেবে কিনা।
এ বছর পাঁচ হাজার আফগানকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের। তালিকায় নারী-শিশু ও তালেবানের কারণে ঝুঁকিতে থাকা লোকগুলোই অগ্রাধিকার পাবে বলে জানান ডেইলি টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পাটেল।
তবে শুরুতেই বিশেষ সুবিধা পাবেন যুক্তরাজ্যের হয়ে কাজ করা দোভাষী, দূতাবাস কর্মী ও তাদের পরিবার। এ বিষয়ে বুধবার (১৮ আগস্ট) হাউস অব কমনসে পার্লামেন্ট ডেকে ভোট নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, সংখ্যাটিকে যথেষ্ট নয় দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় এমপি টোবিয়াস এলউড। আরেক বিরোধী নেতা ইয়ান ব্ল্যাকফোর্ড দাবি করেন, সংখ্যাটা কমপক্ষে ৩৫-৪০ হাজার হওয়া উচিৎ।
কাবুল থেকে জনগণকে সরানোর প্রসঙ্গে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেছেন বরিস জনসন। আবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের মতো তিনিও গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ফোন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে।
ইমরান খানও তাকে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, তিন তালেবান নেতার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। সেই সঙ্গে খান এও বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকেও আফগানিস্তানের অবস্থা উন্নয়নে আর্থিকভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ। পাশাপাশি পাকিস্তানকে লাল তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাটিও বরিস জনসনকে মনে করিয়ে দেন তিনি।
১৮ আগস্ট ২০২১
নিউজ ডেস্ক