যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এই সময় নির্বাচনী ইশতেহার ও ভবিষ্যৎ যুক্তরাজ্য নিয়ে লেবার ও কনজারভেটিভ উভয় দলই বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছেন। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায় সরকার যে কেউ গঠন করলেও বছরে ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাজ্যের থিঙ্কট্যাঙ্ক জানিয়েছে বছরে অন্তত ৮০০ পাউন্ড ট্যাক্স বৃদ্ধি ঘটবে।
রেজোলিউশন ফাউন্ডেশন সতর্ক করে বলেছে, লেবার বা টোরি যে কেউ ট্যাক্স কর্তন নিয়ে বক্তব্য দিলে সেটা হতে পারে ভণ্ডামি। কারণ বাৎসরিক ট্যাক্স কর্তনের কোনো সুযোগ সামনে থাকছে না।
ফাউন্ডেশন আরো জানায়, কনজারভেটিভস এবং লেবার পার্টি ক্ষমতায় যেতে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে ঘোষিত ব্যবস্থাগুলি ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের এক বছরে মোট কর গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন পাউন্ডে দাঁড়াবে। যার কারণে কর হ্রাসের কোনো সুযোগ থাকবে না নতুন সরকারের জন্য।
প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে ঋষি সুনাক দাবি করেছিলেন লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার প্রত্যেক নাগরিকের উপর ২০০০ পাউন্ড কর বাড়াবেন। তবে থিঙ্কট্যাঙ্ক দাবি করে লেবার পার্টি যদি বাৎসরিক কর বাড়াতে হয় কনজারভেটিভ দলেরও এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
যদিও অফিস ফর স্ট্যাটিস্টিকস রেগুলেশন বলেছে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ২০০০ পাউন্ড কর বৃদ্ধি করার কথা আসলে বার্ষিক কর বৃদ্ধি ব্যবস্থার কথা নয়। এখানে হিসাবে গড় ধরে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে মোট কর বৃদ্ধির গানিতিক পরিমাণকে বুঝানো হয়েছে।
রেজুলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম করলেট বলেন, “ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় কর বাড়ায় হিসাব প্রায়শই সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সিদ্ধান্ত গুলোর একটি। এটি ইতিমধ্যে খুব স্পষ্ট যে সরকার সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতকে টিকিয়ে রাখতে প্রচুর চাপে থাকবে। তাই নতুন যে সরকারই আসুক তাকে কর বৃদ্ধি করতে হবে।”
উল্লেখ্য যে সমীক্ষা হতে দেখা গিয়েছে গত আটটি নির্বাচনের পরেই বাৎসরিক করের হার বাড়ানো হয়েছে। গড়ে প্রতি নির্বাচনের পরে বাৎসরিক ২১ বিলিয়ন পাউন্ড কর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৮ জুন ২০২৪