বিয়ে, জন্মদিন বা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে এখন থেকে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ লাগবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ শর্ত যোগ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, এখন থেকে বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে লাগবে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ। সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, সুন্নতে খতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।
বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যুক্ত হতে পারে।
কেউ যদি ভাই–বোন, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কোনো মুঠোফোন উপহার পান, তাহলে আপনাকে ওই ফোনের মূল্যের ওপর আয়কর দিতে হবে। শ্বশুরবাড়ি থেকে উপহার পেলেও কর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
শুধু মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে কিংবা স্বামী-স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার পেলে কর দিতে হবে না। তবে কর না দিলেও আয়কর রিটার্নে সেটি দেখাতে হবে। এ ছাড়া অন্য যে কারও কাছ থেকে উপহার পেলে বছর শেষে তা আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে এবং করও দিতে হবে। আবার উপহারদাতাকেও তার আয়কর রিটার্নে উপহার দেওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে।
নতুন বাজেটের অর্থবিল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, উপহারকে করের আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল রোববার এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের ২০২৪ সালের অর্থবিল বিশ্লেষণেও একই কথা বলা হয়েছে। রাজধানীর এক হোটেলে এ নিয়ে তারা এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ বাসস
এম.কে
১০ জুন ২০২৪