সামনের দিনগুলোয় যুক্তরাজ্য যদি লকডাউন বিধিনিষেধের সঠিক পদক্ষেপ না নেয়, তবে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিতে পড়তে হবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব রোববার (৩০ নভেম্বর) বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার সম্ভাব্য ‘তৃতীয় ঢেউ’–এর আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে রাব বিবিসিকে বলেন, আমরা যদি সঠিক ভারসাম্য না পাই, তবে এর ঝুঁকি আছে।
রাব আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার আরেকবার লকডাউন এড়াতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে কয়েকটি টিকার সফল হওয়ার ঘোষণা এসেছে। বিশ্বজুড়েই এ নিয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৯২ হাজার ৫৪৩ জনের। গত বছরে চীনের উহানে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের পর থেকে মারা গেছেন ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৪ জন।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের দিক থেকে যুক্তরাজ্য আছে সাত নম্বরে। দেশটিতে ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সেখানে মারা গেছে ৫৮ হাজার ৫৪৫ জন।
যুক্তরাজ্যের টিকাদান কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নাদিম ঝাওয়ি দেশটিতে কবে নাগাদ টিকা দেওয়া শুরু হবে, তা নিশ্চিত করেননি। এখনো যুক্তরাজ্যে কোনো টিকা অনুমোদন পায়নি।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে একটি করোনার টিকা তৈরি করছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকা পরীক্ষার তিন ধরনের ফল জানায়। তারা বলে, টিকার মোট কার্যকারিতা হবে ৭০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ আর সর্বোচ্চ কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। তবে এ টিকা ঘিরে মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে কারও দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা-সম্পর্কিত যে তথ্য দিয়েছে, তা স্বাধীন নিয়ন্ত্রকেরা পর্যালোচনা করে দেখবেন।
০১ ডিসেম্বর ২০২০