যুক্তরাজ্য বিশ্বের প্রথম দেশ যা ১৬ বছর এবং এর বেশি বয়সীদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন ব্যাপক ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের ৪ কোটি ডোজের আগাম অর্ডার দিয়ে রেখেছিল যুক্তরাজ্য, যা তারা দুই কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে প্রয়োগ করতে পারবে। কয়েক দিনের মধ্যেই ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু করবে যুক্তরাজ্য।
প্রথম পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের এই টিকা দেওয়ার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যেমন শীর্ষস্থানের কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স । বয়স্ক এবং গুরুতর অসুস্থ মানুষদের এই ভাইরাসে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই তাদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার পাবেন। এই অগ্রাধিকারে থাকা জনসংখ্যার পরে তরুণদের টিকা দেওয়া হবে দ্বিতীয় ধাপে।
যুক্তরাজ্যের প্রধান নির্বাহী স্যার সাইমন স্টিভেনস বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের ৫০টি হাসপাতাল থেকে এই ভ্যাকসিন দেয় শুরু হবে। হাসপাতালের পাশাপাশি এক হাজারেরও বেশি জিপি সার্জারি স্থানীয় টিকা কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে এবং স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং সম্মেলন কেন্দ্রগুলো বড় ধরনের টিকা কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে।
লোকদের দুই দফায় টিকা দেওয়া হবে। প্রথম বার দেয়ার পর ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। কাউকে টিকা দেওয়ার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে চিঠির মাধ্যমে।
৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে রোলআউটে সহায়তার জন্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। যার মধ্যে লাইফগার্ড, বিমান সংস্থার কর্মী এবং শিক্ষার্থী আছে। তাদের প্রথমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এই টিকা বিনামূল্যে আনা হচ্ছে। অর্থ দিয়ে এটি পাওয়া যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ অগ্রাধিকারে থাকা মানুষদের পরে কম ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকা দেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলেও লোকজনকে সজাগ থাকতে হবে। করোনার বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ফেস মাস্ক ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোর চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া করোনা পরীক্ষা করানো এবং সনাক্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখার বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
সূত্র: বিবিসি
৩ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ/এনএইচ